মনোহরদী উপজেলাধীন উত্তরাঞ্চলে লেবুতলা, খিদিরপুর, চরমান্দালিয়া, বড়চাপা ৪ টি ইউনিয়নের গ্রামসমূহে গত শনিবার প্রচন্ড শিলাপাতসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। শিলার আঘাতে ফিরুজা (৬০), নাজমা (২২), রহিমা (৪০), ফিরুজা (৫৫), আসাদ মিয়া (৩২), রফিকুল ইসলাম (৪০), নয়ন মিয়া ২৮, হাবিবুর রহমা (৩০), মো: শামীম আকন্দ (৩০), নার্গিস আক্তার (৩০), শওকত আলী (৩৫) সহ কমবেশী ৪০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী চলে গেছে। মারা গেছে গরু, ছাগল ও বিভিন্ন পাখি। প্রচন্ড শিলার তোড়ে বোরো ধান, কলা, পেঁপে, মৌসুমি শাক-সব্জী ও ফলমূলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, শনিবার জোহরের নামাজের পর উত্তরাকাশ হঠাৎ কালো মেঘে ঢেকে যায়। মুহুর্তের মধ্যে সারা আকাশ আবার সাদাটে হয়ে শুরু হয় শিলাপাত। সেই সাথে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টিপাতও। প্রায় অর্ধ ঘন্টাব্যাপী শিলাপাত ও দেড় ঘন্টাকাল বৃষ্টিপাতের সময় ১ থেকে ২ কেজি ওজনের শিলাপাত ঘটে। এ সময় স্থানীয় খিদিরপুর বাজারের প্রায় ৫ শত দোকানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এসব দোকান ঘরের টিনের চালা শিলার তোড়ে ভেঙে ছিদ্র হয়ে ঘরের ভিতরে শিলা পড়ে মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব মালামাল আর বিক্রির উপযোগী নয়। অনেক দোকান মালিক টিনের ঘর ও মালামাল সবই হারিয়ে এখন রাস্তায় বসে গেছে। এছাড়া বোরো ধানের আধাপাকা ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়। আম, লিচু, কলা, পান, পেঁপে, কাঁঠালসহ বিভিন্ন শাক-সব্জী ফলমূলের কচি গাছ থেকে ঝড়ে পড়ে গেছে। এদিকে ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রামেই ঘরবাড়ীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক পরিবারের একটি ঘরই থাকার তাদের সেই ঘরটিতে আর থাকার পরিবেশ নেই। অনেক পরিবার ফসলও হারিয়েছে ঘরবাড়িও হারিয়েছে। তাদের রুজী রোজগারের আর কোন ব্যবস্থা নেই। ঘর নির্মাণ করারও কোন ব্যবস্থা নেই। এ মুহূর্তে এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন সরকারের কাছে সাহায্য কামনা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন