শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশের অর্থনীতিসহ দক্ষিণাঞ্চলে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রত্যাশা

পায়রা সমুদ্র বন্দর

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর নিয়ে বিশাল ও বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা সেতুর সাথে পায়রা বন্দর-এর পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক পরিচালন কার্যক্রম শুরু হলে দেশের সার্বিক অর্থনীতিসহ দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় অদূর ভবিষ্যতেই ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আগামী ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বন্দরটি বাণিজ্যিক ও পরিচালন কার্যক্রমে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ মধ্যমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বন্দরটির পূর্ণাঙ্গ পরিচালন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর লক্ষেও সব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পায়রা বন্দর স্থাপন প্রকল্পটি ‘প্রধানমন্ত্রীর ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ ছাড়াও ভাংগা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সংযোগ এ বন্দরের সক্ষমতাকে আরো গতিশীল করবে। ইতোমধ্যে বন্দরটির মাস্টার প্লান প্রনয়ণের লক্ষে নেদারল্যান্ডস-এর রয়েল হাসকনিং ডিএইচভিসহ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট’এর গবেষণা, পরীক্ষা এবং পরামর্শক ব্যুরো-বিআরটিসি’র সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তির আওতায় ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রয়েল হাসকনিং-এর ৬১ জন বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েট-এর ২৯ জন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আগামী ১৮ মাসের মধ্যে বন্দরটির জন্য পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা ও মাস্টার প্লান প্রনয়ণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩-এর ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ ২০১৬-এর ১৩ আগস্ট বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দরটির বাণিজ্যিক কার্য্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এ বন্দরে ইতোমধ্যে ২৬টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকারও বেশী। পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষও জাহাজসমুহ থেকে ৩.৩৬ কোটি টাকা আয় করেছে বলে জানা গেছে।
পায়রা বন্দরকে ঘিরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইকো ট্যুরিজম, বিমান বন্দর, রেল সংযোগ স্থাপন, শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ড, এলএনজি টার্মিনাল, লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল, কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষেও কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে পায়রা বন্দরের কাছে দেশর বৃহৎ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরেই প্রথম ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে করবে বলেও আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সংযুক্তির লক্ষে গ্রীড সাব-স্টেশনসহ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলছে। পায়রা বন্দরের অদূরে খুলনা শিপইয়ার্ড একটি নৌ নির্মাণ কারখানা স্থাপনের লক্ষেও জমি অধিগ্রহণ করছে।
দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সমুদ্র বন্দরের ভ‚মিকা অপরিসীম। এখনো আমদানি-রপ্তানির ৯৫% সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু দেশের ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় অসংখ্য চ্যানেল এখনো তেমন কোন উন্নয়নমুখী কাজে ব্যবহার করা যায়নি। চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর ভবিষ্যতের বর্ধিত চাপ অন্য বন্দরে ভাগ করাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সমাজিক ব্যবস্থা উন্নয়নে তৃতীয় সমুদ্র বন্দর প্রতিষ্ঠার তাগিদ ছিল বিশেষজ্ঞ মহলের। এসব বিবেচনায়ই ২০১১ সালের দিকে দেশে তৃতীয় সমুদ্র বন্দর স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার।
বিআইডব্লিউটিএ এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনী সহ বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মতামত গ্রহণ করে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সমুদ্র উপক‚লবর্তী যেকোন একটি এলাকায় তৃতীয় সমুদ্র বন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি এ সমুদ্র বন্দর স্থাপনে প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ করে প্রস্তাবিত এ সমুদ্র বন্দরের জন্য ‘পরিবেশগত প্রভাব সমিক্ষা’সহ ‘অর্থনৈতিক ও কারিগরি সমিক্ষা’ সম্পন্ন করে। দেশীয় স্বশাষিত নদী বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-আইডব্লিউএম’ এসব সমিক্ষা সম্পন্ন করে পটুয়াখালীর রাবনাবাদ চ্যানেলে ৩য় সমুদ্র বন্দরটি স্থাপনের সুপারিশ করে। তবে ২০১৩-এর ৫ আগস্ট মন্ত্রীসভা ‘পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অর্ডিন্যানন্স-২০১৩’ অনুমোদনের পরে ঐ বছরই ৫ নভেম্বর এ সংক্রান্ত একটি বিল জাতীয় সংসদেও অনুমোদিত হয়েছে। ফলে পায়রা বন্দরের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের আর কোন সম্পৃক্ততা নেই।
রাবনাবাদ চ্যানেলটির যে স্থানে পায়রা সমুদ্র বন্দর স্থাপন করা হচ্ছে সেখান থেকে সাগর মোহনার দুরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। ন্যূনতম এক কিলোমিটার প্রশস্ত এ চ্যানেলটির অভ্যন্তরভাগে ২৫-৩০ ফুট গভীরতা বিদ্যমান রয়েছে। এমনকি সাগর মোহনা থেকে চারিপারা পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এপ্রোচ চ্যানেলটির ন্যূনতম গভীরতাও ২০ ফুটের মত। রাবনাবাদ চ্যানেলটির চার্ট গভীরতা সাড়ে ১০ মিটারে উন্নীত করার লক্ষ্যে ‘ক্যাপিটাল এন্ড মেইনটিন্যান্স ড্রেজিং’ প্রকল্পটি গত বছর ১৯ মার্চ মন্ত্রীসভা ‘জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রকল্পটি ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ-পিপিপি’ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেলজিয়ামের ‘জান ডি নুল’ কোম্পানীর সাথে গত ১৪ জানুয়ারি বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরটির মূল চ্যানেলের ‘ক্যাপিটাল এন্ড মেইনটিন্যান্স ড্রেজিং সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এ চ্যানেলটির স্রোতের প্রবাহ ধারা ঘণ্টায় ৩-৪ নটিক্যাল মাইল। যা দেশের অন্য দুটি সমুদ্র বন্দরের চেয়ে কিছুটা বেশি। ফলে এ চ্যানেলটির প্রবাহ ও নাব্য নিয়ে ভবিষ্যতে কোন বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ঢাকা থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দরের দুরত্ব ৩৪০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৩১৬ কিলোমিটার এবং বরিশাল বন্দর থেকে ১৭২ কিলোমিটার।
পায়রা সমুদ্র বন্দর স্থাপনে সরকার যেসব বিষয়গুলো প্রাথমিক বিবেচনায় নিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, এ বন্দরের সাথে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ রাজধানী ঢাকা এবং বিভাগীয় সদর বরিশালের সহজ নৌ পথ। পাশাপাশি বরিশাল হয়েই সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগও বিদ্যমান রয়েছে। শুধুমাত্র পায়রা বন্দর এলাকা থেকে কলাপাড়া উপজেলা সদর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হলেই সারা দেশের সাথে সহজ সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মধ্যেই নৌ বাহিনী ঐ সড়কটির উন্নয়নে কাজ সম্পন্ন করছে। এছাড়া কলাপড়া থেকে বরিশাল হয়ে ফরিদপুরের ভাংগা পর্যন্ত ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে হবে। ইতোমধ্যে ঐ প্রকল্পের ভ‚মি অধিগ্রহনে অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে একনেক। তবে এজন্য বিস্তারিত নকশা ও সম্ভব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হলেও প্রকল্পটির জন্য কোন দাতা পাওয়া যায়নি এখনো।
পায়রা বন্দর নির্মাণ ও বাণিজ্যিক পরিচালনে সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বন্দরটির পরিচালন-এর লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে ২৬৬ জনের জনবলের সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদনের পরে ১০৮ জনকে নিয়োগও দেয়া হয়েছে। স্বল্প মেয়াদে বন্দরের প্রাথমিক কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে বেশ কিছু অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। যার মধ্যে নিরাপত্তা ভবন, পানি শোধনাগার, ১ হাজার কেভিএ বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন, বেতার যোগাযোগের ভিএইচএফ টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, ওয়ার হাউজ, মসজিদ, মাল্টিপারপাস ভবন, স্টাফ ডরমেটরি, সার্ভিস জেটি নির্মাণ, সংযোগ নদীর ড্রেজিং ও নৌ সংকেত স্থাপন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও বন্দর পরিচালনায় পাইলট ভেসেলসহ অন্যন্য অত্যাবশ্যকীয় নৌযানসমূহ নির্মাণও শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পায়রা বন্দর স্থাপন ও পরিচলনায় সাড়ে ৬ হাজার একর জমি অধিগ্রহনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দু হাজার ৩৭৩ একর অধিগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। এসব জমির ক্ষতিগ্রস্থ সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের জন্য আনুষাঙ্গিক সুবিধাসহ গৃহ নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর চার হাজার ২শ’ নারী-পুরুষকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যেও কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরটির মধ্য মেয়াদী কার্যক্রমের অংশ হিসেব ক্যাপিটাল এন্ড মেইন্টেনেন্স ড্রেজিং, ড্রাই বাল্ক/কোল টার্মিনাল প্রকল্প ছাড়াও ভারতীয় ‘লাইন অব ক্রেডিট-৩’এর আওতায় অভ্যন্তরীণ রাস্তা সহ ১২শ’ মিটার দীর্ঘ মাল্টি পারপাস টার্মিনাল-এর নির্মাণ কাজ ২০২১ সালে সম্পন্ন হবে। পাঁচ হাজার ১৫০ কোটি টাকার এ প্রকল্পটিতে অর্থায়নে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি ইতোমধ্যে একনেক-এর চ‚ড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানা গেছে।
পিপিপি অর্থায়নে ২০২২ সালের মধ্যে পায়রা বন্দর এলাকায় ৭শ মিটার জেটি ও অন্যান্য স্থাপনা সম্বলিত বাল্ক ও কোল টার্মিনাল প্রকল্পটির জন্য সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দু হাজার ১২৫ কোটি টাকা। এ লক্ষ্যে চলতি মাসেই একটি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবানের কথা জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনীয়তার নিরিখে আগামীতে অনুরূপ আরো দুটি টার্মিনাল নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
পায়রা বন্দরের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় একটি পূর্ণাঙ্গ গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনে প্রণীতব্য ডিটেইলড মাস্টার প্লানের সুপারিশের আলোকে আরো ৪টি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০২৫ সালের মধ্যে এ প্রকল্পটি পিপিপি অথবা জিটুজি অর্থায়নে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। মাস্টার প্লানের আওতায় পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, পরিবেশ ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব নিরূপণ, ক্রয় পরিকল্পনা ও ক্রয় প্রস্তাব প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টসমূহ বুয়েট-এর বিআরটিসি’র নেতৃত্বে রয়েল হাসকনিং ডিএইচবি’র সহায়তায় প্রণীত হবে। এছাড়া পরামর্শ কাজের শুরুতে এবং রিপোর্ট চ‚ড়ান্তকরনের পরে একবার করে সেমিনারের মাধ্যমে বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে স্টেকহোল্ডাদের মতামতও গ্রহন করা হবে। পোর্ট অপারেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট প্লান এবং কৌশলগত ট্যারিফ প্লান প্রণয়ন ও গভীর সমুদ্র বন্দরে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে এ মাষ্টার প্লান ও সমীক্ষা প্রতিবেদনে। মাস্টার প্লান ও সমীক্ষায় অধিগ্রহনকৃত ভ‚মির পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারেরও সুপারিশ থাকবে।
এসব বিষয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এম জাহাঙ্গীর আলম ইনকিলাবকে জানান, সরকার দেশের তৃতীয় এ সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক পরিচালন শুরু করার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষও কাজ করছে বলে জানান তিনি। একটি সমুদ্র বন্দর স্থাপন ও পরিচালন অত্যন্ত দুরুহ ও সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য বন্দরগুলোর তুলনায় পায়রা বন্দরের উন্নয়ন অনেকটাই দ্রুততম সময়েই সম্পন্ন করতে যাচ্ছে সরকার। তবে একটি পূর্ণাঙ্গ সমুদ্র বন্দর নির্মাণ ও উন্নয়ন চলমান প্রক্রিয়া বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন