শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীতে সমুদ্র বন্দর নির্মাণে চুক্তি

লক্ষাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ফেনী-মিরসরাই অঞ্চলে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পাঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরীকে ঘিরে উপকূলে একটি সমুদ্র বন্দর নির্মাণে দেশ-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমন্বয়ে গঠিত শিল্প জোটের (কনসোর্টিয়াম) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। জাপানভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সজিত কর্পোরেশন, বাংলাদেশের এনার্জিপ্যাক এবং জাপান ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট সম্মিলিতভাবে বন্দর স্থাপনের এই কনসোর্টিয়াম গঠিন করে।

গত শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নবগঠিত এই কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বন্দর নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয় বেজা। বেজার পক্ষে নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশীদ এবং কনসোর্টিয়ামের পক্ষে সজিত কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা কেন কুরিবায়েশি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ৪০ হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজের জন্য একটি বাণিজ্যিক বন্দর (বার্থিং) সুবিধা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উন্নত করা হবে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করে ৪০ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে।

কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে। বাণিজ্যিক জেটি এবং শিল্প পার্ক সমাপ্তির ফলে এক লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

৩০ হাজার একর জমি নিয়ে গঠিত হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীতে ইতোমধ্যেই ভূমি ইজারা পেয়েছে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। চীন, ভারতের বিনিয়োগকারীরা ছাড়াও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সমন্বয়ে অন্তত ৫ হাজার একর জমিতে চলছে শিল্পাঞ্চল নির্মাণের কাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্র, পাদুকা শিল্প, রঙ শিল্প, হাল্কা ও মাঝারি যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য কারখানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেখানে কাজ করে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জেটি উন্নয়নের ফলে ভারী মালামাল আমদানির গতিশীলতা সহজতর হবে যা চট্টগ্রাম বন্দরে মাল খালাসে দীর্ঘসময়ের সংকটকে কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। শিল্প পার্ক এবং জেটি স্থাপনের ফলে এলপিজি, এলএনজি এবং এইচএফও স্টোরেজ সুবিধার পথ সুগম হবে।

সজিত কর্পোরেশন জাপানে এবং বিশ্বব্যাপী ক্রয়, আমদানি, রফতানি বাণিজ্য, বৃহৎ ও ভারি পণ্য উৎপাদন, সেবা প্রদান এবং প্রজেক্ট সমন্বয় ও পরিকল্পনার সাথে সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বৃহদাকার খাতে বিনিয়োগ এবং অর্থায়ন কার্যক্রমও প্রতিষ্ঠানটি করে থাকে। এসব খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- অটোমোবাইল, বিদ্যুৎ, খনিজ সম্পদ, রাসায়নিক দ্রব্য, খাদ্যদ্রব্য, কৃষি ও বন সম্পদ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।

বাংলাদেশের এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে অটোমোবাইল ব্যবসা, বাণিজ্যিক মোটরযান ও কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ আমদানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ, সরবরাহ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল জেনারেটর আমদানি, স্পেয়ার পার্টস আমদানিসহ এধরনের খাতগুলোতে ব্যবসা করছে। জাপান ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট জাপান ভিত্তিক একটি শীর্ষ কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান যেটি বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য পরামর্শ প্রদান করে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন