শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নেত্রকোনা হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির তিন দিন পর উদ্ধার

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৭:০৬ পিএম

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ১১ দিনের নবজাতক চুরি হওয়ার ৩ দিন পর বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালের সামনে একটি ব্যাগ থেকে নবজাতককে উদ্ধার এবং ঘটনার সাড়ে জড়িত থাকার দায়ে নবজাতকের খালা ঝর্ণার মামা শ^শুড় ফয়জুল হক ও তার স্ত্রী শিউলীকে আটক করা হয়েছে। 

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফখরুজ্জামান জুয়েল জানান, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের পাচঁগজ গ্রামের কৃষক আবুল কাশেমের স্ত্রী ববিতা গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ৫ দিন পর তারা গ্রামের বাড়ীতে ফিরে আসেন। ববিতার শরীরে সমস্যা দেখা দেয়ায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ববিতা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ২৫ ফেব্রুয়ারী ববিতার বোন ঝর্ণা নবজাতককে তার দাদী জায়েদা বেগমের কোলে রেখে ববিতাকে পেটের সেলাই কাটার জন্য লেবার ওয়ার্ড থেকে গায়নী ওয়ার্ডে নিয়ে যান। ঐ দিন বিকাল ৩টার দিকে বোরকা পড়া মুখ ঢাকা এক মহিলা দাদী জায়েদার কোল থেকে শিশুটিকে নিয়ে আদর করে আবার জায়েদার কোলে ফিরিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর জায়েদা বুঝতে পারেন তার কোলে নবজাতক নেই। এ নিয়ে তিনি চিৎকার চেচামেছি শুরু করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছুটে আসে। এ ব্যাপারে ঝর্ণা আক্তার ঐদিন রাতেই নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। জিডি নং ১৪৫৫। এ খবর জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকদের মাঝে এক ধরনের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।
পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী হাসপাতালের সিসি ফুটেজ দেখে নবজাতককে উদ্ধারের জন্য নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ সিসি ফুটেজ দেখে পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশের একটি কিলোপার্টি গত বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালের সামনে টহল দেয়ার সময় শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। তারা দেখতে পান একটি ব্যাগের ভেতর থেকে এ কান্নার আওয়াজ আসছে। এ সময় ব্যাগের পাশে দুজনকে দেখতে পান। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগের ভেতর থেকে নবজাতককে উদ্ধার এবং সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে নবজাতককে চিকিৎসকের নিকট নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পর থানায় নিয়ে আসেন। তারা হলেন ফয়জুল হক ও তার স্ত্রী শিইলী আক্তার। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, নবজাতকে খালা ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে পুলিশ ঝর্ণা আক্তারকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

 

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন