ঢাকার ধামরাইয়ে এক নবজাতককে বিক্রির তিন দিন পর আজ সোমবার ২৯ জুন নবজাতকটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে আজ সোমবার ২৯ জুন ধামরাই থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় নবজাতককে বিক্রি ও কেনার অভিযোগে এক নার্সসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় ,গত ২৬ জুন রাতে ধামরাই সুতিপাড়া ইউনিয়নের বাটারখোলা এলাকার সোনালী বার্তা গুচ্ছ গ্রামের মৃত বাবুল হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকার রাবেয়া মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য আছিয়া বেগমের সাহায্য নিয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি হাসপাতালে একটি সুস্থ্য ফুটফুটে ছেলে শিশুর জন্ম দেন।
জানা যায়, নাজসা বেগম স্বামীহারা একজন অসহায় ও হতদিরদ্র নারী। এর আগেও তার আরো দুই সন্তান রয়েছে।পরে তিনি অভাবের তাড়নায় ওই হাসপাতালের নার্স সাদিয়া খাতুনের কথামত এক দম্পতির কাছে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হলে ওই হাসপাতালের নার্স সাদিয়াকে গতকাল হাসপাতাল থেকে দুপুরে আটক করে ধামরাই থানা পুলিশ।
ওই নার্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিন দিন অভিযান চালিয়ে সোমবার ২৯ জুন সকালে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে ঔই নবজাতকটিকে উদ্ধার করে।
এসময় ওই নবজাতককে কেনার অভিযোগে হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী সাথী আক্তার নামের এক দম্পতিকে আটক করে পুলিশ। পরে নবজাতকটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে নবজাতক বিক্রির বিষয়টি শুনে সোনালী বার্তা গুচ্ছ গ্রামে ওই নারীর বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। ওই নারীর ৮ বছরের এক মেয়ে ও ৫ বছরের আরও দুই সন্তান রয়েছে।যদিও ওই নারী সরকারী গুচ্ছ গ্রামে ভাড়া থাকলেও তিনি কোন সরকারী ঘর পাননি। সন্তানদের মানুষ করার জন্য তিনি সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। এদিকে নবজাতকটিকে উদ্ধারের পরে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় ধামরাই থানার দুই পুলিশ নবজাতকের মাকে কিছু নগদ টাকা সাহায্য করেন বলে জানা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন