গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকারী জলাশয় ইজারার টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিক সহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে রাখা জলাশয় ইজারা টেন্ডার বাক্সে দরপত্র দাখিল করার সময় দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং ধাওয়া পাল্লা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় স্থানীয় সাপ্তাহিক কাটাখালী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন হামলার শিকার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও এ সংঘর্ষে নারায়নের চা দোকান সহ ৪টি দোকান ভাংচুর ও উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন অনিদৃষ্টকালের জন্য টেন্ডার স্থগিত করেছেন।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন হামলার শিকার হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গোবিন্দগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জোড় দাবি জানান। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে তারা জানান।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদি হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিযন্ত্রনে ৮১ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন