গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধ) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শনিবার মধ্যরাতে দুই সন্তানের জননী রেহেনা বেগম (৩৩)-কে স্বামী আশরাফুল ইসলাম (৪৫) নির্যাতন করে হত্যা করেছে। স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়া ও যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় রেহেনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে নিহতের মা ফিরোজা বেগম ও ভাই ফেরদাউস আলম অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর থেকে আশরাফুল ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম তার স্ত্রী রেহেনা বেগমকে তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করে নিয়ে আসার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে আশরাফুল ইসলাম। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার মধ্যরাতে রেহেনাকে নির্যাতন করে আশরাফুল। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রেহেনাকে তড়িঘড়ি করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত রেহেনা বেগম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ধাওয়াগীর (পোড়ালী) গ্রামের মৃত সোলায়মান আলীর মেয়ে এবং আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খিরিবাড়ী গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।
অপরদিকে আশরাফুল ইসলাম মুঠো ফোনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শনিবার সে তার স্ত্রী, দুই সন্তান মোছা: আশামণি (৯) ও মোছা: ইশা খাতুন এবং অপর এক মহিলাকে সাথে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ধাওয়াগীর (পোড়ালী) গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে রেহেনা বেগমের ভাই ফেরদাউস আলম তাদের অপমান করে তাড়িয়ে দিলে তারা ফিরে আসে এবং আশরাফুল কোচা শহর বাজারে অবস্থান করে স্ত্রী সন্তানদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আশরাফুল আরো জানায়, ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিল না। পরে বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে তার স্ত্রী বিষ খেয়েছে তখন তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সকাল ১১টার দিকে রেহেনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন