শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে তানভীর আহমেদ ছিদ্দিক (২৫) নামে এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল
(শনিবার) ভোরে বাকলিয়া থানার মিয়াখান নগর বাইদ্দারটেক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তানভীর আহমেদ ছিদ্দিক ওই এলাকার আব্দুল হকের পুত্র। বখাটেকে গ্রেফতারের পর ঘরে বসে থাকেননি সাহসী কন্যা ফারহেনা। থানায় গিয়ে আসামিকে সামনাসামনি দেখে শনাক্তও করেছেন। নিপীড়নের শিকার নওরীন নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আহম্মদ আলীর কন্যা। তিনি সরকারি সিটি কলেজের বিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গত ৬ মার্চ দুপুরে নগরীর স্টেশন রোডে অপরাজেয় বাংলাদেশ-এ থাকা পথশিশুদের একটি অনুষ্ঠান শেষে বাসায় যাবার জন্য ফলমণ্ডির সামনে থেকে রিকশায় ওঠেন। রিকশাটি কদমতলী এলাকা পৌঁছলে পেছন থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে দুই বখাটে যুবক তাকে অনুসরণ করে। বিভিন্ন ধরনের অশালীন মন্তব্যের পর একপর্যায়ে তার ওড়না ধরে টান দেয়। উত্যক্তের হাত থেকে বাঁচতে ফারহেনা রিকশায় বসেই মোবাইলে বখাটেদের কাজকর্ম ভিডিও করতে শুরু করেন। সেই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করে পুলিশের সহযোগিতা চান তিনি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন তিনি বলেন, ফেসবুকে যখন বখাটেপনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, সেটা দেখে পালিয়ে যায় তানভীর ও সোহেল। গত শুক্রবার তানভীর বাসায় ফিরে আসে। খবর পেয়েই আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করি। তানভীর ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ছিল। তার কাছ থেকে অপর বখাটে মো. সোহেলের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেছে। সোহেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় তিনটি মাদকের মামলা আছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ওসি বলেন, ঘটনা জানার পর আমি ফারহেনাকে বলেছিলাম মামলা করতে। কিন্তু সে আমাকে বলেছিল, আপনি প্রকৃত আসামি গ্রেফতার করেন। সেই আসামিকে আমি আগে শনাক্ত করব, তারপর মামলা করব। বখাটে তানভীরকে গ্রেফতারের পর ফারহেনা মামলা করেছে। আমি এই মেয়ের সাহসী ভূমিকাকে স্যালুট করছি।
ফারহেনা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বখাটেদের হাত থেকে নারীদের রক্ষার জন্য প্রতিবাদ খুবই জরুরি। এজন্য আমি আমার ঘটনা প্রকাশ করেছি। ইভটিজারদের গ্রেফতার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন