রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা ক্রমান্বয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে বলে জানা গেছে। মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও তারা এখানে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। উখিয়া- টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো এখন ক্রমান্বয়ে অশান্ত হয়ে উঠছে। স্থানীয়দের দাবি মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করা হোউক।
কিন্তু মিয়ানমারের অসহযোগিতার পাশাপাশি কিছু কিছু এনজিও সংস্থার প্ররোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ক্যাম্পে অবস্থানগত রোহিঙ্গারা প্রায় সময় পরস্পরের মধ্যে মারামারি, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, স্থানীয় লোকজনের সাথে সংঘর্ষ ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এসব কারণে একদিকে রোহিঙ্গারা অপকর্ম করে যাচ্ছে যাচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গতকাল ১৬ মার্চ রাতেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এমনকি ক্যাম্প ইনচার্জ আর অফিসেও তারা হামলা করে বলে জানা গেছে।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬নং ক্যাম্পে অবস্থিত (নৌকার) মাঠের আধিপাত্যকে বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ক্যাম্প ইনচার্জসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে রোহিঙ্গারা তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্বরক্ষার্থে পুলিশ ৭/৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়লে রোহিঙ্গারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় সেনা সদস্য পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয়। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পের ভুট্টো-ইউনুছ ও নবী হোছন গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে দু’পক্ষ মারমুখী অবস্থান নিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিমের অফিসেও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বলে জানা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়েরের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৩ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া রোহিঙ্গারা হল মোঃ ইসমাঈল (২৩), মোঃ হোছন (৩০) মোঃ আলম (১৯), মোঃ জুনাইদ (৩৫), ভুট্টো আলম (৫০), মোঃ ইউনুছ (১৮) মোঃ রফিক (১৮) মোঃ আমিন (১৯) আয়ার মোহাম্মদ (৩৫) মোহাম্মদ জাফর আলম (২২) শামশুল আলম (২০) দিল মোহাম্মদ (৩৫) ও এনায়েত উল্লাহ (৩৫)।
এব্যাপারে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোহিঙ্গারা এক শ্রেণির আত্মঘাতি জাতি। তারা দেশের আইন কানুন কিছুই তোয়াক্কা করে না। তারা ক্রমান্বয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন