বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০ টি ইঞ্জিন কেনার চুক্তি সই

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ৮:২৪ পিএম

বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০ টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ কেনার জন্য আজ রেলভবনে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম এর সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন “বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০ টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ও ১৫০ টি মিটারগেজ কোচ ক্রয়” প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মতিন চৌধুরী এবং হুন্দাই রোটেমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়াং উক কিম (Hyung-Wook Kim) কোম্পানীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলকে যুগোপযোগী উন্নয়নে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। মানুষকে রেলের মাধ্যমে কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। ইঞ্জিন পাওয়া শুরু করলে অধিক পরিমানে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে বেশী করে রাজস্ব আহরণ করা যাবে বলে মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী এ সময় জানান উন্নত বিশ্বের রেল ব্যবস্থাও উন্নত। উন্নত দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার সকল খাতকে সমানভাবে উন্নয়ন করে থাকে। রেল খাতকে একটি উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন। নতুন কোচ, ইঞ্জিন দ্বারা রেলওয়ে ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো যাবে। এ সময় তিনি রেলওয়ের চলমান কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সারাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হবে। ভাড়া বাড়ানোর বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন এখনও ভাড়া বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নী। তবে অন্যান্য যানবাহনের সাথে রেলওয়ের ভাড়া তুলনা করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী ২২ থেকে ২৮ মাসের মধ্যে সকল ইঞ্জিন সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফান্ড, কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে লোকোমোটিভ গুলো ক্রয় করা হচ্ছে। বাংলাদেশী টাকায় চুক্তি মূল্য ৬৭৪ কোটি ০৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮২ টাকা।

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৭৮ টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে যার মধ্যে ১৩৯ টির অথনৈতিক আযুস্কাল (২০ বছর হিসাবে) শেষ হয়ে গেছে। কাজেই দ্রুত এসব ইঞ্জিন প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন ইঞ্জিন পাওয়া খুবই দরকার।
এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মোঃ কাজী রফিকুল আলম, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন