শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি অংশ বেসরকারি খাতে দিতে হবে কেন?

প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ্বের প্রায় সব দেশের আদি ও পুরাতন যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো রেলপথ। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও সহজ ও স্বল্প মূল্যে এবং নিরাপদে যোগাযোগ সেবা দিয়ে আসছে রেলপথ। সর্বস্তরের যাত্রীরা আরামপ্রিয় একটি যোগাযোগ মাধ্যম মনে করে এই রেলপথকে। শুধু তাই নয়, নি¤œআয়ের মানুষের জন্য রেলপথের কোনো বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি। সরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। যেখানে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ, লোকবল, সরঞ্জামাদিসহ আরও অনেক কিছু। রাষ্ট্রের পুরো বাজেটের মধ্যে রেলপথের জন্য বরাদ্দ রাখতে হয় একটি বড় অংশ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। এত বরাদ্দের পরও রেলকে কেন বেসরকারিভাবে দিতে হবে তা আমার বোধগম্য হয় না। তাহলে কি রেলকে বেসরকারিভাবে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের ব্যর্থতাকে প্রকাশ করা হচ্ছে?
বিভিন্ন বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেমন বেসরকারি খাতে ছাড়া যায় না তেমনি রেল বিভাগের একটি অংশকে বেসরকারি খাতে দেয়া কতটা যৌক্তিক তা বিবেচনার দাবি রাখে। বেসরকারি খাতে রেল চললে লাভবান হচ্ছে কারা? এতে লাভবান হচ্ছে কিছু সংখ্যক মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও রেলের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা।
আমার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। রায়পুরাতে রয়েছে আমীরগঞ্জ, খানাবাড়ি, হাঁটুভাঙ্গা, মেথিকান্দা, শ্রিনিধি ও দৌলতকান্দির মতো রেলওয়ের ৬টি স্টেশন। জন্মের পর থেকেই রায়পুরা থেকে বাইরে কিংবা দূরে কোথাও যেতে রেলপথ ও নৌপথ ছাড়া কোনো মাধ্যম ছিল না। সে কারণে রেলপথের সাথে আমিসহ অত্র এলাকার সবার একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মেথিকান্দা স্টেশন আমার যাতায়াতের স্থান, যা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীসাধারণ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখান থেকে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য একটি আন্তনগর ট্রেনের বিরতির জন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে চেষ্টা করেও তা করানো যাচ্ছে না। কারণ বেসরকারি ট্রেনের আয় বৃদ্ধি ও সুবিধার জন্য সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করছে সংশ্লিষ্ট কতিপয় কর্মকর্তা। যেখানে রেলপথ মন্ত্রণালয় হিসেবে আলাদা একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার, সেখানে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় যা জনসেবার প্রথম পর্যায়ে স্বীকৃত। সে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়ে লাভবান হবে এবং সাধারণ যাত্রীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেÑ এমনটা আশা করা যায় না।
ইফতেখার আহমেদ ভূঞা (ইতু)
রায়পুরা, নরসিংদী ।

ইয়াবার প্রবেশ ঠেকান
মাদক বাংলাদেশের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। মাদকের নেশায় হাজার হাজার যুবক ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। ভয়ংকর মাদক ইয়াবা এখন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে। দেশের বাইরে থেকে ইয়াবা বানের পানির মতো ঢুকছে। ঠেকানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই। দেশে যত বেশি ইয়াবা প্রবেশ করছে তত বেশি মানুষ ইয়াবার নেশায় আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশ ঠেকানো কখনই সম্ভব নয়, কারণ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত দেশের একশ্রেণির প্রভাবশালী। বানের পানি যেমন সহজেই ঠেকানো যায় না, তেমনি প্রভাবশালীদের কারণে ইয়াবা প্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশ কখনো মাদকমুক্ত হবে না।
মাদকাসক্ত তৈরি হবে ঘরে ঘরে। অন্যায় অবিচার অশ্লীলতায় ছেয়ে যাবে পুরো দেশ। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন ইয়াবার প্রবেশ ঠেকিয়ে মাদকমুক্ত দেশ উপহার দিন।
মোঃ আজিনুর রহমান লিমন
ডিমলা, নীলফামারী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন