শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টাঙ্গাইলে সৃষ্টি রেসিডেনসিয়াল স্কুলের ১১ ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে মারধরের অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৯, ১১:৩৫ এএম

টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকায় অবস্থিত সৃষ্টি রেসিডেনসিয়াল স্কুলের ১১ জন ছাত্রকে মেঝেতে ফেলে হাত-পা বেঁধে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহত এক ছাত্রকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিগারেট খাওয়ার পর একটি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের গ্যাস ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক তাদের মারধর করে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত ছাত্ররা পরদিন আবাসিক ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সৃষ্টি রেসিডেনসিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র ধূমপান করে। এ খবর জানতে পেরে আবাসিক শিক্ষক তাদের ডেকে শাসিয়ে দেন এবং বিষয়টি অভিভাবকদের জানান। শাসানোর পরও বিষয়টি অভিভাবকদের জানানোয় ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে ভবনের ভেতরে একটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। তা ছাড়া বারান্দায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের গ্যাস ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ১১ জন ছাত্রকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
পরদিন সকালে অভিভাবকদের খবর দিলে তাঁরা ছাত্রদের নিয়ে যান। শনিবার রাতেই আবাসিকের ছাত্ররা ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করলে আবাসিক ছাত্ররা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। সোমবার আহত ছাত্রদের অভিভাবকদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সব অভিভাবক না আসায় বুধবার সেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আবাসিকের এক ছাত্রের বাবা মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে জানান, ছেলেদের এখানে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছি। কেন তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হলো? আমরা এর বিচার চাই।’ থানায় গিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শনিবার সকালে আহত ছাত্রদের নিয়ে যাওয়ার পর কিভাবে ভবনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে! তা ছাড়া ভাঙচুরের সময় স্কুল কর্তৃপক্ষসহ পুলিশও উপস্থিত ছিল। মারধরের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অন্য ছাত্রদের দিয়ে ভাঙচুরের ‘নাটক’ সাজানো হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
এ ব্যাপারে সৃষ্টি রেসিডেনসিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী লিটন বলেন, আবাসিকের কয়েকজন ছাত্র সিগারেট খাওয়ায় আবাসিক শিক্ষক তাদের একটু শাস্তি দিয়েছেন। এই ক্ষোভে তারা ভবনে ভাঙচুর চালায়। যাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বুধবার বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি মো. সায়েদুর রহমান বলেন, স্কুলের ছাত্ররা ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আর অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ দিতে এলে তাঁদের কথা শোনা হয়নি এ অভিযোগ সত্য নয়। কেউ অভিযোগ দিতে এলে অবশ্যই তা নেওয়া হবে।# মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর, ১৯-০৩-২০১৯

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন