বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৯, ৬:১৯ পিএম

পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে কোচিং সেন্টার মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (অ্যাসেব)। বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসেবের আহ্বায়ক মোঃ ইমাদুল হক কোচিং সেন্টারগুলোকে নির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনার দাবী করে ফ্রিল্যান্সিং বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের মূলমন্ত্র শিক্ষা। কিন্তু মাঝে মাঝে শিক্ষার গলা চেপে ধরে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় অধিকাংশ স্কুল কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কোচিংগুলোও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ছাত্রছাত্রীরা। দিশেহারা হয়ে পড়েন অভিভাবক মহল। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সমাধান চায় সংগঠনটি।

লিখিত বক্তব্যে ইমাদুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের হাত ধরে শিক্ষা খাতে আমরা বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি। কিন্তু বর্তমান দশকে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সমস্যা আমাদের অনেক ভুগিয়েছে- সেটা হল প্রশ্নফাঁস। বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার মধ্যে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাও একটি। যদিও প্রশ্ন তৈরী, বিতরণ, সরবরাহ কোন প্রক্রিয়ার সাথেই কোচিং সেন্টার জড়িত না।

কোচিং সেন্টারের মালিকরা বলেন, কোনো ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার কারণে যদি কোন রোগী মারা যায় সেজন্য দেশের সব ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়াটা কি যুক্তি সঙ্গত হবে? তদন্তে উঠে এসেছে প্রশ্নফাঁসের সাথে বিজিপ্রেসের কিছুসংখ্যক অসাধু কর্মচারীও জড়িত। এজন্য কি বিজিপ্রেস বন্ধ করে দেওয়াটি প্রাসঙ্গিক শোনাবে? তাহলে কোচিং সেন্টার কেন বলির পাঠা। পাবলিক পরীক্ষার সময় যদি ব্রিটিশ কাউন্সিল খোলা থাকে তবে একই ধরনের দেশীয় প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ থাকবে? বাংলা মিডিয়ামের কোচিংগুলো বন্ধ হলেও বন্ধ হয় না ইংলিশ মিডিয়াম কোচিংগুলো। এটা কি চরম বৈষম্য নয়? আমার যারা শিক্ষা উদ্যোক্তা আছি এবং আমাদের ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত কেউ সরকারি-বেসরকারি কোন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত নই। আমাদেরও চাওয়া, প্রশ্নফাঁসের সাথে যুক্ত সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। তবে অনুরোধ, এটাকে যেন সরলীকরণ না করা হয়।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হাসান সোহাগ, শামসেয়ারা খান ডলি, মাহবুব আরেফিন, আকমল হোসাইন, পলাশ সরকার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন