৬৯ এর মহানায়ক সাবেক শিল্প - বানিজ্য মন্ত্রী ভোলা - ১ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন,বঙ্গবন্ধু দিয়েছে স্বাধীনতা, শেখ হাসিনা দিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। দ্বীপ জেলা ভোলা এক সময় অবহেলিত ছিল। এখন অনেক উন্নত জেলা। রাস্তাঘাট সহ অবকাঠামো অনেক উন্নত।সামনে আরো সুন্দর হবে। ভোলা হবে ইকোনোমিক জোন।সিঙ্গাপুরের আদলে ভোলাকে সাজানো হবে। আমার একটি স্বপ্ন ভোলা বরিশাল ব্রীজ নির্মান করে ভোলাকে দেশের মূল ভূখন্ডের সাথে সংযুক্ত করা।ইতিমধ্যে কাজ শুরু হযে গেছে।
ভোলাকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৪০০০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি। তিনি আমাদের স্বাধীন করেছেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত করেছে।
ভোলায় প্রাকৃতিক সম্পদে ভর পুর। পর্যাপ্ত পরিমানে গ্যাস মজুত রয়েছে। সব কুপ খনন হয় নাই।এমন দিন ও আসবে আমরা তৈল ও পেতে পারি ইনশাল্লাহ।
একটা জেলাকে উন্নত জেলা করতে হলে গ্যাস বিদ্যুৎ লাগে আমাদের সব আছে।
ভোলায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। প্রথমে একটি কোম্পানি ৭০ মেঘাওয়াট তার পর ইসলামি ডেলপলমেন্ট ব্যাংক সহযোগিতায় ২২৫ মেঘাওয়াট এবং ভারতের একটি কোম্পানি ২২৫ মেঘাওয়াট, আর আশুগঞ্চ থেকে ১০০ মেঘাওয়াট ভোলায় আসছে। অন্যে দুইটি কোম্পানি (৬০০+ ৬০০)" ১২০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
ভোলায় শিল্প করতে লাগবে গ্যাস, লাগবে বিদ্যুৎ আমাদের দুইটায় আছে। ভোলা হবে ইকোনোমিক জোন।
ভেলুমিয়া ভেদুরিয়ায় পর্যটন কেন্দ্র হবে। ধনিয়া তুলা তুলি মেঘনার পাশে নদী পাড়ে পর্যটন কেন্দ্র হবে। আর ভোলা বরিশাল ব্রিজ হলে আজকে যে ভোলা একটি বিছিন্ন দ্বীপ এটা কেউ বলতে পারবে না। কারন আমরা মুল ভুখন্ডের সাথে যুক্ত হব।
ভোলা শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই শ্রেষ্ট জেলা হবে না ভোলা হবে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যাতম জেলা।
তিনি বলেন আমি যদি বেচে থাকি এই ভোলাকে সিংগাপুরের আদলে করার চেস্টা করবো। একটা জেলাকে উন্নত করতে হলে যা যা দরকার সবই ভোলায় আছে।
সাবেক মন্ত্রী আরো বলেন নদী ভাঙ্গার অবশিষ্ট কাজ সেই তজুমদ্দিন, লালমোহন, বোরহানউদ্দিন,দৌলতখা, ভোলা সদরের জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ভোলায় আসবেন। নদী ভাঙ্গা যদি বন্ধ হয় ভোলা বরিশাল ব্রিজ হয় আর গ্যাস ভিত্তিক যদি শিল্প হয় তাহলে আমার ভোলার ছেলেরা চাকরির জন্য ভোলার বাহিরে যাওয়া লাগবে না।
আমি বাংলাবাজারে আমার মায়ের নামে বাংলাবাজারে ফাতেমা খানম কমপ্লেক্স, গার্লস হাই স্কুল, ডিগ্রি কলেজ,মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র, শিশু পরিবার (এতিম খানা), জামে মসজিদ, বৃদ্ধাশ্রম এবং বাবা - মায়ের নামে আজাহার ফাতেমা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং যা কিছু আমি বাংলাবাজার করেছি তার মধ্যে বাংলাবাজারে সব চেয়ে বড় স্বাধীনতা যাদুঘর।
এই বাংলাবাজার যাদুঘরে আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের তরুন প্রজন্ম জানতে পারবে। এখানে বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলন, বঙ্গবঙ্গ, ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬ দফা, ৬৯ এর গন অভ্যুথান,৭১ মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতার সাথে আমি যে দেশ - বিদেশ ভ্রমন করেছি তার স্মৃতি জরিত অনেক ছবি আছে।
তোফায়েল বলেন বিএনপি রাজনিতিতে এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।একটা দলের প্রধান দূর্নীতি মামলায় জেলে আর একজন ভারপ্রাপ্ত হয়ে তিনি দেশে নেই দেশের বাহিরে পলাতক আছে। এই যদি হয় নেতা তাহলে এই দলের অস্থিত থাকে কি করে।
আজ বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পরেছে।বিএনপি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা অার উঠে এসে রাজনীতি করতে পারবে না। ওদের নেত্রী জেলে কিন্তু ওরা কিছুই করতে পারে না। না পাড়ে কোটে না পাড়ে মাঠে। ৬৯ এর মহানায়ক তোফায়েল বলেন, আমরা করেছি আমি ও তো ৭ বার জেলে গেছি।আমি বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ৩৩ মাস জেলে আমাকে গ্রেপ্তার করে হাত চোখ বেধে অত্যাচার করেছে আমি মাথা নত করি নাই। কয়েক দিন সহ সোমবার সকাল ১১ টার সময় সরকারী স্কুল মাঠে তৃনমুল আঃলীগের মত বিনিময় সভায় তার রাজনৈতিক স্মৃতি চারন করে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভোলা সদর উপজেলা আঃলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন।
তৃনমুল আঃলীগের মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আঃলীগ সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আঃলীগের যুগ্ন সাধারন জহুরুল ইসলাম নকিব, জেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আঃলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এনামুল হক আরজু, জেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন