শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউ ভিসি’র শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৪:৪৩ পিএম

নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদযাপন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে ও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জাকরণ, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ইত্যাদি। জাতীয় এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বি ব্লকের নীচে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, ডা. সাহানা আখতার রহমান, ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান ভূঁইয়া, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আবদুস সোবহান, সেবা তত্ত্বাবধায়ক শান্তনা রানী দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অপর্ণের পর সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়–য়া-এর নেতৃত্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, মার্চ মাস স্বাধীনতার মাস। এই মার্চ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছেন, এ মাসেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের শপথ হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়া। ভিসি এসময় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মার্চের গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি জোর দাবি জানান।

ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র বিদ্যমান রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সতর্কতার সাথে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Muhammad Zahir Rayhan ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:১১ পিএম says : 0
এই দেশকে আমরা বালোবাসি প্রয়োজন হলে এই দেশের জন্য জীবন দিব কিন্তু শহিদ হয়েছে ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ বা আরও বেশী বাংঙ্গালী অর্জিত রক্তে রঞ্জিত বাংলার স্বাধীন মানুষ গুলো কি তাদের আসল সম্পান দিতে পেরেছে কি? শুধু মুখে বলে এইদেশকে আমরা বালোবাসি বৎসরে একবার স্মৃতিশোদে যেয়ে ফলের বন্যা বয়েদিয়ে এটাকি বালোবাসা তা হলে প্রকৃত বালোবাসা কোনটি তা কি আমরা জানি না জানার চেষ্টা কি করেছি? তাদের জন্য যে ফুলের বন্যা বয়ে দেয়া হলো তারা কি এটার গ্রান পায় না তাদের কোন উপকারে আসে আজ যদি ২০ কোটি মানুষ তাদের জন্য যে টাকা দিয়ে ফুলে বন্যাবয়ে দিয়েছি সে টাকা দিয়ে যদি এ দেশে কত মানুষ না খেয়ে থাকে থাকার যায়গা নাই মানুষের এক মুঠো খাওয়া জুটেনা তাদের জন্য কি চিন্তা করেছি আমরা যদি এই ৪৮ বৎসর আটচল্লিশবার মহান আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বলেছি যে আল্লাহ যারা এই দেশের জন্য যারা প্রান দিয়েছে তাদের তুমি জান্নাত দান করুন তা হলে আজ শহিদদের আত্মা শান্তি পাইত আর যারা দুনিয়ায় জীবন যুদ্ধে এক বেলা খাওয়া জুটেনা তাদের জন্য কি আমরা নিজের হাত প্রসারিত করতে পারিনা আজ জাতীয় ভাবে কত সম্পদ অপচয় হয় তার হিসাব নেবে কে? এটা হলো প্রকৃত বালোবাসা হয়তো কারো কাছে ভালো লাগবে না এটাই বাস্তব আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফিক দান করুন আমিন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন