শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলা ফিচার

ই উ রো পে র সে রা রা

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোল ও সহায়তা : শীর্ষে সুয়ারেস

এক দশকের মধ্যে সম্ভবত এবারই প্রথম লিওনেল মেসি বার্সেলোনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন না। গোল করা আর গোলে সহায়তা মিলিয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি এগিয়ে ছিলেন সুয়ারেস। জøাতান ইব্রাহিমোভিচ নিজেকে ‘কিংবদন্তি’ উল্লেখ করে পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দেন। আর সুইডেনের এই ফরোয়ার্ডের পরিসংখ্যানও তার দাবিকে সমর্থন করে।
নাপোলির শিরোপা লড়াইয়ে থাকায় অবদান রাখেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড গনসালো হিগুয়াইন।
৫৬ (৪০ গোল+১৬টি গোলে সহায়তা)-লুইস সুয়ারেস (বার্সেলোনা)
৫১ (৩৮+১৩)-জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (পিএসজি)
৪৬ (৩৫+১১)-ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪২ (২৬+১৬)-লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)
৩৮ (৩৬+২)-গনসালো হিগুয়াইন (নাপোলি)


সুযোগ তৈরিতে অনন্য ওজিল

আরও একবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিততে ব্যর্থ হলো আর্সেনাল। তবে দলটির জার্মান প্লেমেকার মেসুত ওজিল সতীর্থদের জন্য ১৪৬টি (গোলে সহায়তাসহ) সুযোগ তৈরি করে এমিরেটসে নিজের সবচেয়ে ফলপ্রসূ মৌসুম কাটান।
ইংল্যান্ডে নিজের প্রথম মৌসুমে দিমিত্রি পায়েত দারুণ সফল হয়েছেন। ফ্রান্সের ক্লাব মঁপেলিয়ের আলজেরিয়ান মিডফিল্ডার রিয়াদ বুদেবুজ নিজেকে সৃষ্টিশীল খেলোয়াড় হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
১৪৬- মেসুত ওজিল (আর্সেনাল)
১১৯- রিয়াদ বুদেবুজ মঁপেলিয়ে)
১১৯- দিমিত্রি পায়েত (ওয়েস্ট হ্যাম)
১১৫- ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন (টটেনহ্যাম)
১০২ -নেইমার (বার্সেলোনা)

লক্ষ্যে শট: এগিয়ে রোনালদো

গোল করা আর সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোয় সুয়ারেস আর ইব্রাহিমোভিচের কাছে এ মৌসুমে হেরে যেতে পারেন রোনালদো, কিন্তু মৌসুম জুড়ে ৯৮টি শট লক্ষ্যে রেখে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকদের সবচেয়ে ব্যস্ত রাখেন তিনিই।
৯৮- ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৮৩- গনসালো হিগুয়াইন (নাপোলি)
৮১- জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (পিএসজি)
৭৫- হ্যারি কেইন (টটেনহ্যাম হটস্পার)
৭৫- লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)


সেভ : ব্যস্ত বাউমান
এই তালিকার পাঁচজনের মধ্যে তিনজন গোলরক্ষকই জার্মানির বুন্দেসলিগার।
১৫২- অলিভার বাউমান (হফেনহাইম)
১৪৮- রন-রবার্ট সিলার (হ্যানোভার)
১৪৪- এমিলিয়ানো ভিভিয়ানো (সাম্পদোরিয়া)
১২৯- আন্তোনিও আদান (রিয়াল বেতিস)
১২৭- লুকাস হ্রাদেচকি (আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট)


ড্রিবলে বেন আরফার প্রত্যাবর্তন
ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাব নিস-এর হয়ে এ মৌসুমে অসাধারণ খেলে নিজের ঝিমিয়ে পড়া ক্যারিয়ারটাকে আবার জাগিয়ে তোলেন হাতেম বেন আরফা। এ মৌসুমে ১৫২টি ড্রিবল সম্পূর্ণ করেন তিনি। এই ক্যাটেগরিতে অন্য সবাইকে পেছনে ফেলেন এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার শিরোপা জয়ে নেইমারের আর লেস্টারের প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জেতায় রিয়াদ মাহরেজের বেশ প্রভাব ছিল।
১৫২- হাতেম বেন আরফা (নিস)
১৪৩-নেইমার (বার্সেলোনা)
১৩১- রিয়াদ মাহরেজ (লেস্টার)
১২৭-সোফিয়ানে বুফাল (লিল)
১২৭-উইলফ্রেড জাহা (ক্রিস্টাল প্যালেস)

ট্যাকলে এগিয়ে কান্তে
লেস্টারের অবিস্মরণীয় মৌসুমে প্রায়শই শিরোনাম হয়েছেন রিয়াদ মাহরেজ ও জেমি ভার্ডি। তবে দলটির লিগ শিরোপা জয়ে এনগোলো কান্তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৭৫টি ট্যাকল করে পরিসংখ্যানের এই বিভাগে তিনিই সবার শীর্ষে। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাস্টন ভিলা লিগ শেষ করে সবার শেষে থেকে, তবে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন দলটির সেনেগালের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুয়ে।
১৭৫-এনগোলো কান্তে (লেস্টার সিটি)
১৪৩-ইদ্রিসা গুয়ে (অ্যাস্টন ভিলা)
১৪১-ডেনিস আপিয়াহ (ক্যঁ)
১৩৪-জঁ দানিয়েল আকপা-আকপ্রো (তুলুস)
১২৬-ফিলিপে লুইস (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)

 

সংখ্যায় সংখ্যায়
২০১৫-১৬ মৌসুমের রোমাঞ্চ ছড়ানো সব লড়াই শেষে লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, ইউভেন্তুস, লেস্টার সিটি ও পিএসজি। ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগে শিরোপা লড়াইয়ের পথে পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছে বেশ কিছু রেকর্ড-

১১২- ইউরোপের সব লিগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১২ গোল করেছে লা লিগার চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। তিনটি ম্যাচে তারা জেতে ৬-০ ব্যবধানে আর লিগের শেষ দিকে দেপোর্তিভো লা করুনাকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেয় লুইস এনরিকের দল। দলের সর্বোচ্চ ৪০ গোল করেন লুইস সুয়ারেস।

২৭ হাজার ৩০২- ইউরোপের দলগুলোর মধ্যে পাস দেওয়ায় সবচেয়ে কার্যকর ছিল পিএসজি; সর্বোচ্চ (২৭ হাজার ৩০২)। ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়নদের ঠিক পাসের হারও (৮৯.৪%) পাঁচটি লিগের দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। আর এটাই দলটিকে ৩০টি ম্যাচ জিততে এবং লিগ ওয়ানের ইতিহাসে রেকর্ড ৯৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেছে।

২৪- এবারের লা লিগায় ২৪ ম্যাচে কোনো গোল না খেয়ে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ, যদিও বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলতে তা যথেষ্ট ছিল না।

বায়ার্ন মিউনিখ ২০ ম্যাচে নিজেদের জাল অক্ষত রাখে, অর্থাৎ আতলেতিকোর মতো তারাও মাত্র ১৪ ম্যাচে গোল খায়। শীর্ষ লিগগুলোর দলগুলোর মধ্যে এবার জার্মান চ্যাম্পিয়নরাই সবচেয়ে কম ১৭ গোল হজম করে। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে যা এক আসরে সবচেয়ে কম গোল খাওয়ার রেকর্ড।

৮৩- লিগ ২ থেকে উঠে আসা ত্রোয়ার এবারের লিগ ওয়ান যাত্রাটা বিভীষিকার মতো কেটেছে। প্রথম ম্যাচে নিজেদের জাল অক্ষত রেখে শুরু করা দলটি বাকি ম্যাচগুলোয় মোট ৮৩ গোল হজম করে। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত টানা ৭ ম্যাচ হারে তারা, তার মধ্যে পিএসজির কাছে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল।

১০- সেরি আয় টানা পঞ্চম শিরোপা জয়ের পথে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত টানা ১০ ম্যাচে কোনো গোল খায়নি ইউভেন্তুস, ইতালির শীর্ষ লিগে যা নতুন এক রেকর্ড।

১২- প্রিমিয়ার লিগের শেষ ১২ আসরে প্রথম দল হিসেবে আর্সেনাল জানুয়ারির শেষে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থেকেও শিরোপা জিততে পারেনি।

০- সেভিয়া পুরো আসরে কোনো অ্যাওয়ে ম্যাচেই জিততে পারেনি। লা লিগায় ২০০৩-০৪ মৌসুমে মুরসিয়ার পর এই প্রথম এই ঘটনা দেখা গেল।

৭১১- এবারের লিগে যথেষ্ট চেষ্টা করেও শিরোপা জিততে না পারা রিয়াল মাদ্রিদের ৭১১টি শট গোল বরাবর ছিল। ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোয় অন্য যে কোনো দলের চেয়ে এটি বেশি।

৮০ - সেরি আর ইতিহাসে এবারই প্রথম তিনটি দল ৮০ বা তার বেশি পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করেছে।

৩৮- ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বিস্ময় জাগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লেস্টার সিটি। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে নটিংহ্যাম ফরেস্টের শিরোপা জেতার ৩৮ বছর পর ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় নতুন চ্যাম্পিয়ন পেল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন