হাসিফ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি বেসরকারী সংস্থায় ট্রান্সপোর্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে চাকুরিতে যোগ দিয়ে থিতু হতে না হতেই আগুনে প্রাণ গেল সোনারগাঁওয়ে সন্তান আহম্মেদ জাফরের। বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৮ম তলায় তার অফিস ছিল। বৃহস্পতিবার অগ্নিকান্ডে তিনি ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যান।
অগ্নিকান্ডে নিহত আহম্মেদ জাফরের(৬০) লাশ তার নিজ গ্রাম সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের নবীনগরে দাফন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা নবীনগর গ্রামের পৈত্রিক বাড়ির পাশে একটি মাঠে জানাযা শেষে নবীনগর সামাজিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
অগ্নিকান্ডে নিহত আহম্মেদ জাফরের ভাতিজা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, তার চাচা আহম্মেদ জাফর সোনালী ব্যাংকে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি অবসরে চলে যান। মাত্র তিন মাস আগে তিনি হাসিফ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি বেসরকারী সংস্থায় ট্রান্সপোর্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৮ম তলায় তার অফিস ছিলো। বৃহস্পতিবার অগ্নিকান্ডের সময় তিনি ওই অফিসেই অবস্থান করছিলেন। পরিবারের সদস্যরা টিভি স্কলে অগ্নিকান্ডের সংবাদ দেখে আহম্মেদ জাফরের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা তাকে ফোনে পাননি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
আহম্মেদ জাফর ঢাকার মোহাম্মদপুরের আহম্মেদীয়া হাউজিংয়ে স্ব-পরিবারে বসবাস করতেন। সোয়েব আহম্মেদ নামে বিবিএ অধ্যায়নরত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া তার এক ছেলে রয়েছে। আহম্মেদ জাফরের আরেক ভাতিজা জাকির হোসেন জানান, চাকুরি সূত্রে আমি ঢাকার শাহিনবাগ এলাকায় বসবাস করি। অগ্নিকান্ডের খবর শুনার পর সাথে সাথে মোবাইলে চাচার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন