এশিয়ার বিখ্যাত মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে জাল ফেলেও ডিম মেলেনি মা মাছের। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে বৃষ্টি দেখে হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহের জন্য সংগ্রহকারীরা গভীর রাত পর্যন্ত জাল নিয়ে নামেন। ডিম ধরার জাল ফেলেও ভোর পর্যন্ত কোন প্রকার মা মাছের ডিম মেলেনি।
মঙ্গলবার হালদা নদীতে ডিম ছাড়ার কোন প্রকার জো ছিলনা। বৃষ্টি আর বজ্রপাত হওয়ার কারণে ডিম সংগ্রহকারীরা ধারনা করছেন হয়তো মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। প্রচন্ড বৃষ্টি, বজ্রপাত, ও পাহাড়ি ঢল নেমে আসবে বলে মনে করেন তারা। মা মাছ ডিম ছাড়বে এমন আশঙ্কায় ডিম সংগ্রহকারীরা হালদা নদীতে জাল ফেলেও ডিম সংগ্রহ করতে পারেননি।
হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারী গড়দুয়ারার কামাল সওদাগর ও মাছুয়াঘোনার এলাকার ডিম সংগ্রহকারী মো. হারুন জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে নদীর বিভিন্ন স্পটে ডিম ধরার জাল ফেলেও ব্যর্থ হন। ভোর পর্যন্ত ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে নৌকা ও জাল ফেলে অপেক্ষমান ছিল। কিন্তু নদীতে কোন স্রোত না থাকায়, পাহাড়ি ঢল ও রাতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও বজ্রপাত না হওয়ায় ডিম দেয়নি মা মাছ। মঙ্গলবার বিকেল থেকে যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন ডিম সংগ্রহকারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়।
নদীর অঙ্করীঘোনা, নয়াহাট, পোড়াকপালী, সুইসগেইট, আমতুয়া, মার্দাশা আজিমের ঘাট, দক্ষিণ মার্দাশা বড়–য়া পাড়া, বারিয়াঘোনা, রামদাশহাটসহ মদুনাঘাটের বিভিন্ন স্পটে হালদার ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে জাল ফেলে সারা রাত অপেক্ষায় থেকেও ব্যর্থ হয়। চলতি এপ্রিল মাসের শেষের দিকে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার একটি জো রয়েছে।
হালদা বিষেশজ্ঞ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মন্জরুল কিবরিয়া জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে একটি পূর্ণিমার জো রয়েছে। ডিম সংগ্রহকারীদের নজর আসন্ন পূর্ণিমার জো’র দিকে। তবে আজ ও কালের মধ্যে যদি বৃষ্টি, বজ্রপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানিসহ নদীর তীব্র পানির স্রোত থাকে তাহলে যে কোন মুহূর্ত মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। ডিম ছাড়ার কয়েক ঘন্টা পূর্ব থেকে মেইল ফিমেল মাছ একে অপরের গাঁ ঘেষে ঘেষে নদীতে বিচরণ করতে থাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন