বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইনান্স কোম্পানী লিমিটেড (বিআইএফসি) লুটের প্রধান হোতা পিকে হালদার এর সহযোগিদের রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও দূর্নিতি দমন সংস্থার ব্যক্তিরা বলে বাংলাদেশ ব্যাংকেরই গঠিত বিআইএফসি বিষয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
পিকে হালদারের মুল দোসর বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিচ্যুত জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম, বিআইএফসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুহুল আমিন ও বিআইএফসির হেড অব বিজনেস কামরুজ্জামানই এর সহযোগিতার কারনেই পিকে হালদার বিআইএফসি সহ আরো তিনটি লিজিং কোম্পানী থেকে শত শত কোটি টাকা লোপাট করতে সক্ষম হয়েছে বলেও এই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে।
বিগত বছর পিকে হালদারের দুজন সহযোগি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিআইএফসির লোন জালিয়াতীর সাথে জড়িত এমন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়ার পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খান এর নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশষ্ট্যি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
এই কমিটির তদন্তকালীন সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলমকে বিআইএফসির লোন কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মনিটরিং এর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে ২০১৫ সালের পর থেকে পিকে হালদার দুটি ভুয়া কোম্পানী গঠন করে বিআইএফসি থেকে ৫০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে লোন নেয় যা বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম এর কারনে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশদ তদন্ত প্রতিবেদনে গোপন রাখা হয়।
পিকে হালদারের লুটের টাকার হিসাব লিজিং কোম্পানীগুলোর হিসেবের মধ্যেই আছে। এবং যেহেতু পিকে হালদারকে দেশে এনে টাকা আদায় করা যাচ্ছে না তার দোসরদের আইনের আওতায় আনলেই কিছু টাকা আদায় করা সম্ভব।
পিকে হালদার ২০১৫-২০২০ এই পাচ বছরে বিআইএফসি থেকে ১০০০ কোটি টাকা লুট করেছে। এই পাচ বছরই রুহুল আমিন বিআইএফসির এমডি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট ইনচার্জ ও শাহআলমের ভগ্নিপতি কামরুজ্জামান হেড অব বিজনেস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা তিনজনেই নানা কৌশলে বিআইএফসির ১০০০ কোটি টাকা লোপাট করেছেন।
পিকে হালদারের এই দোসররা এখনো বিআইএফসির বোর্ডে কর্মরত আছে এবং তারাই টাকা লোপাটের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠায় আছে।
সম্প্রতি পিকে হালদারের দোসররা বিআইএফসির টাকা লোপাটের ঘটনায় বর্তমান বোর্ডের সহযোগিতায় বিআইএফসির পুর্বেকার বোর্ডকে (২০০৪-২০১৪) দায়ী করে মামলা দুদকে মামলা দায়ের করেছে। বিআইএফসির টাকা লুট হয়েছে (২০১৬-২০২০) মেয়াদে যেখানে এর আগের বোর্ডের কেই জড়িত ছিল না। কিন্তুু একজনের আপরাধের শাস্তি অন্য জনার উপরে আরোপ করার কারসাজিতে জড়িত রয়েছে পিকে হালদারের দোসররা।
তাই পিকে হালদারের দোসর রুহুল আমিন, শাহ আলম এবং কামরুজ্জামানদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিআইাফেসির লোপাটকৃত ১০০০ কোটি টাকা আদায় করে বিআইএফসির শেয়ারহোল্ডার এবং আমানতকারীদের দিতে হবে, এমন দাবী উঠেছে আমনতকারীদের পক্ষ থেকে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন