হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ভারতে আটকের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা করে। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেটের কর্মকর্তারা জানান, পি কে হালদারসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকার একটি ব্যাংক ও অপর একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পলাতক ছিলেন।
ফেসবুকে ইকবাল হোসাইন লিখেছেন, ‘‘বিচারের নামে যতদিন না তামাশা চলতে থাকবে ততদিন এভাবেই লুটপাট হতে থাকবে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে এদেশের প্রশাসন কি করেছে?একের পর এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হচ্ছে এই লুটপাটের কারনে, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিবাজরা কেউ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত না থাকলেও এসব অভিযুক্তদের সাজা দিতে প্রতিবন্ধকতা কীসের জাতি জানতে চায়।’’
আরেকজন পাঠক লিখেছেন, ‘‘অর্থ পাচারকারী সকল পিকে হালদারদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা জরুরী। অবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং তার পাচার কৃত টাকায় কেনা সম্পদ বিক্রি করে বাংলাদেশ কে প্রদান করা হোক।এদের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাও প্রয়োজন।’’
আসাদুজ্জামান সজল লিখেছেন, ‘‘সাবাস। একটা কাজের কাজ হয়েছে। এখন দ্রুত বাংলাদেশে এনে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তার সাথে, বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এই দুষ্ট লোকটিকে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করতে সাহায্য করেছিল তাদেরকে অধিকতর শাস্তির আওতায় আনা হোক।’’
রায় চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘পালাবি কোথায়। সব দরজা বন্ধ। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ। এখানে আপনজন অন্যায় করলেও রেহাই নেই।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন