আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কার্যাদেশ দেওয়া হবে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
গতকাল বৃধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণপূর্তমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, জান-মালের ক্ষতি এড়াতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে না করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবন ভেঙ্গে ফেলা হবে। তিন মাসের মধ্যে ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরানো হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নয়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গা হবে। তবে কী পদ্ধতিতে ভবনটি ভাঙা হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে ২৫ এপ্রিল। রেজাউল করিম বলেন, ভবনটি ভাঙ্গতে এর মধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে হবে। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ঠিকাদার বাছাই করা হবে। উপযুক্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান না পেলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকেই ভবনটি ভাঙার দায়িত্ব দেওয়া হবে। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে ভবনটি ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ভবনটি ভাঙ্গার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে ভবনটিকে আমাদের দখলে নিয়েছি, ভবনে অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি।
রাজধানীর হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গতে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। তবে পুরো ভবনটি কখন, কীভাবে ভাঙ্গা হবেএ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে যান রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটিকে হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। পরে ভবন ছাড়তে উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। প্রথমে ছয় মাস এবং পরে সাত মাস সময়ও পায় তারা। সর্বশেষ গত বছর নতুন করে এক বছর সময় পায় সংগঠনটি। সে সময় তারা মুচলেকা দেয়, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না।
কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটি দুটি বেসমেন্টসহ ১৬ তলা। বিজিএমইএ ব্যবহার করে চারটি তলা। বাকি জায়গা দুটি ব্যাংকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তবে আইনি জটিলতার কারণে তাদের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন