বরেণ্য সাংবাদিক ও লেখক মাহফুজ উল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা। সেখানে অনেক তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তারা।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রবাস আমিন তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, মাহফুজউল্লাহ ভাইয়ের সাথে আমার মতের অমিল ছিল। ফেসবুকে নানা সময় সে অমিলের কখা লিখেছিও। এখন মনে হচ্ছে, সেই অমিলের কথা বলতে গিয়ে বয়সজনিত কারণে দুয়েকবার বেয়াদবিও করেছি। কিন্তু তবুও মাহফুজউল্লাহ স্মার্ট সাংবাদিক। তার সময়ে তার মত স্মার্ট সাংবাদিক বিরল। তারচেয়ে বড় কথা তিনি ছিলেন জ্ঞানী, নানামাত্রিক পড়াশোনা ছিল তার। আমার সাথে মিলুক আর না মিলুক; তিনি তার আদর্শে, বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। সহমতের এই সময়ে তিনি ছিলেন ভিন্নমতের উজ্জ্বল উদাহরণ। যতই ভিন্নমত থাকুক, তার মৃত্যুতে গভীর বেদনা অনুভব করছি। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।’
মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যু সংবাদে হুমায়ন রশিদ নামের এক ফেইসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, একজন ন্যায়-নীতিবান সাহসী কলম যোদ্ধা ও প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের বিদায়। হে আল্লাহ এই প্রিয় মানুষটিকে তুমি জান্নাত নসিব করিও। আমিন।’
‘বড্ড অসময়ে চলে গেলেন। এখনও অনেক কাজ বাকি ছিলো যে.....। এই শুন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।’- এভাবে ফেইসবুকে নিজের শোকার্ত অভিমত প্রকাশ করেন সাংবাদিক কামরুল হাসান।
শিক্ষার্থী শান্তা আক্তার লিখেন, ‘অন্ধ দালালির মাঝে সাহস নিয়ে কথা বলার মতো আরেকটা মানুষ হারিয়ে গেল। আল্লাহ উনাকে ক্ষমা করে জান্নাত দান করুন। আমীন ছুম্মা আমীন।’
‘মেধাবী মানুষগুলো যেন দ্রুতই আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে হাতেগোনা যে কয়জন সৎ, নির্ভীক সাংবাদিক আছে তার মধ্যে আপনি অন্যতম। আমরা দুঃখিত স্যার!আমরা আপনার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারিনি। দেশের এই ক্রান্তিকালে আপনার মত মানুষ খুব প্রয়োজন ছিল। সৃস্টিকর্তা আপনাকে ভাল রাখুক।’-
মরহুমের ছবি শেয়ার করে এমন ক্যাপশন লিখেন শিক্ষিকা নীরা হক।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মাহফুজ উল্লাহকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রখ্যাত এই সাংবাদিক হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন