ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অশ্বস্থলী গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবু হুরাইরা মালিথা (৫৫) ও একই উপজেলার কালুহাটী গ্রামের হাফেজ জসিম উদ্দীন (২২) দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। শিক্ষক আবু হুরাইরার বড় ভাই আব্দুল কাদের জানান, গত ২৩ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শৈলমারী বাজার সংলগ্ন কুঠিদুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে আবু হুরাইরা মালিথকো ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যায়। কুঠিদুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু হুরাইরা সদর উপজেলার অশ্বস্থলী গ্রামের মৃত আশির উদ্দীন মালিথার ছেলে। মাদ্রাসা সুপার শরিফুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে আবু হুরাইরা মাদ্রাসার ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিলে শিক্ষক আবু হুরাইরা তাদের সঙ্গে যান। তবে ঝিনাইদহ পুলিশ ও ডিবির পক্ষ থেকেও বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ হাসেম খান আগেই জানিয়েছেন, আবু হুরাইরা নামে তারা কাউকে আটক করেননি। আবু হুরাইরার পরিবার সদর থানায় জিডি করতে গেলে তা গ্রহণ না করে খোঁজ করতে বলা হয়। এদিকে ঝিনাইদহ শহরের আলিয়া মাদ্রসার ফাজেল ক্লাসের ছাত্র হাফেজ জসিম উদ্দীন গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। জসিমের বাবা কালুহাটী গ্রামের খলিল ম-ল জানান, গত ১১ জানুয়ারি জসিম উদ্দীন সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি গোয়ালন্দঘাট পার হয়ে জসিম তার বাবাকে জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকের লোকজন তাদের বাসটি চেক করবে বলে থামিয়েছে। এরপর থেকেই জসিমের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। একই এলাকার দুই ব্যক্তির নিখোঁজ থাকার বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, আবু হুরাইরা ও জসিম নামে কাউকে পুলিশ আটক করেনি। তাদের কোন তথ্যও পুলিশের কাছে নেই। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি কালুহাটী গ্রামের বেলেখাল বাজারে ধর্মান্তরিত সমির নামে এক বয়োবৃদ্ধ হোমিও চিকিৎসক খুন হন। এ ঘটনার পর থেকে গান্না ইউনিয়নের অশ্বস্থলী ও কালুহাটীসহ বিভিন্ন গ্রামে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের লোকজন প্রায় মানুষ ধরে নিয়ে আসে। এর আগে চন্ডিপুর গ্রামের মোবারক হোসেন মোহন ও কালুহাটী গ্রামের বছির নামে দুই ব্যক্তিকে সাদা পোশাকের লোক ধরে নিয়ে আসে। বেশ কয়েক দিন নিখোঁজ থাকার পর তাদেরকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন