হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী গতকাল (শনিবার) এক যুক্ত বিবৃতিতে ২০১৩ সালে ৫ মে শাপলা চত্বরে শহীদ ও আহতদের জন্য দেশবাসীর প্রতি দোয়া চেয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, কতিপয় নাস্তিক আল্লাহ, রাসূল, পবিত্র কোরআন-হাদীস অবমাননা এবং ইসলামের প্রতীকসমূহের ওপর জঘন্যতম আক্রমণ করেছে। ইসলাম, মুসলমান ও আলেম-ওলামাদের হেয়প্রতিপন্ন করার হীন চেষ্টায় চালিয়েছে। মাদারিসে দীনিয়্যার বিরুদ্ধে হরদম মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার অপতৎপরতা চালিয়েছে। এদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে শান্তিপূর্ণভাবে হেফাজতে ইসলাম ৫ মে রাজধানী ঢাকা অবরোধ করেছিল। যা বাংলাদেশের হক্কানী ওলামা-পীর-মাশায়েখ, আশেকে রাসূল (সা.) ও দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতার জন্য রক্তঝরা এক ঐতিহাসিক দিন।
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম নেতৃদ্বয় বলেন, সারা দিন অবরোধে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মীরা যখন ক্ষুধা, পিপাসায় ক্লান্ত শরীরে হাহাকার তখন তাদের জন্য সরবরাহকৃত খাবার ও পানির গাড়ি বন্ধ করে, সন্ধ্যা থেকেই রাস্তার লাইট বন্ধ করে, মতিঝিলের আশপাশের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে বিদঘুটে অন্ধকার তৈরী করে হত্যা ঘটনা ঘটিয়েছিল। হেফাজত নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে যারা রক্ত দিয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, তারা কেবল মহান আল্লাহ ও প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ভালবাসা নিয়ে ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। হেফাজতে ইসলাম যে ১৩ দফা দাবি নিয়ে সেদিন ময়দানে নেমেছিল সে দাবি আজও পূরণ হয়নি। বরং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ঈমানি আন্দোলন বন্ধ করার নানা চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। ১৩ দফা দাবি আদায়ের ঈমানি আন্দোলনকে মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তারা বলেন, ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদদের আস্ফালন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন