শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নুসরাত হত্যাকান্ড : মাদ্রাসা গেইটে পাহারায় ছিল রানা ও মামুন

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৯, ১১:৫৩ এএম

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আরও দুইজন আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন । তাঁরা হলেন- ওই মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষেও শিক্ষার্থী ইফতেখার উদ্দিন রানা ও ইমরান হোসেন মামুন। গতকাল সোমবার বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের (সাইক্লোন শেল্টার) তৃতীয় তলার ছাদে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার সময় ইফতেখার উদ্দিন রানা ও ইমরান হোসেন মামুন মাদ্রাসার গেইটে পাহারারত ছিলেন। এ সময় তাঁদের সাথে হাফেজ আবদুল কাদের, নুর উদ্দিন এবং শরীফও ছিলেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, স্বীকারেক্তিতে তাঁরা বলেছেন, আলিম পরীক্ষার পর থেকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দ্দৌলার সাথে তাঁদের দুইজনের সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের সাথেও ভাল সম্পর্ক ছিল। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর ৩০ মার্চ তাঁরা অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মিছিল করেন। ১ এপ্রিল কারাগারের ফটকে অন্যদের সাথে তাঁরাও অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সাথে দেখা করেন। ৪ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসাঢ একটি সভা হয়। ওই সভায় তাঁরা দুইজনও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই হত্যার মূল পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনামতে ৬ এপ্রিল পরীক্ষার আগে নুর উদ্দিন, হাফেজ আবদুল কাদের, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন ও শরীফ গেইটে পর্যবেক্ষনের দায়িত্বে ছিলেন।
তাঁরা আদালতকে জানান, নুসরাতকে সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নেওয়া ও ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পাঁচজন অংশ নেয়। এদের মধ্যে তিনজন পূরুষ ও দুইজন মেয়ে ছিল। শাহাদাত, জোবায়ের ও জাবেদ বোরকা পরা ছিল। দুই মেয়ের মধ্যে উম্মে সুলতানা পপি (ছদ্মনাম শম্পা) ও কামরুন নাহার মনি ছিল।
এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিআইবি‘র পরিদর্শক মো. শাহ আলম
জানান, আসামীরা অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন, তারা হত্যাকান্ড কিভাবে ঘটিয়েছেন তা আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন।
সোনাগাজীর চাঞ্চল্যকর নুসরাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এ দুইজনসহ ১১জন আসামী নুসরাত হত্যাকান্ডে তাঁদের সরাসরি সম্পৃক্ততা ও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এর আগে ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
MAHMUD ৭ মে, ২০১৯, ১২:৩৭ পিএম says : 0
Thanks to INQILAB for show picture.Many thanks to PBI find out for every real matter. In picture two guy is weeping. When will be start their hang (All criminal concern with NUSHRAT murder).
Total Reply(0)
Faruki ৮ মে, ২০১৯, ২:৫৯ এএম says : 0
Should kill them by cross fired. No need keep in jail.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন