তিনি চিকিৎসক কিন্তু করেন চোরাকারবার। নগরীতে ৫ বস্তা ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধসহ ধরা পড়েন তিনি। ওই চিকিৎসকের নাম মো. বাবলু হোসেন (৩০)। তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন উত্তর রাজনগর এলাকার খোরশেদ আলমের পুত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী।
তিনি বলেন, সিলেটের রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৫ সালে এমবিবিএস পাস করেন ডা. মো. বাবলু হোসেন। পরবর্তীতে সিলেটের বিভিন্ন ক্লিনিকে চাকরিও করেছেন। একপর্যায়ে চিকিৎসা সেবা ছেড়ে অবৈধ ওষুধের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
ওসি জানান, বুধবার রাতে রিক্সা ভ্যানযোগে ৫ বস্তা ভারতীয় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নিয়ে যাচ্ছিলেন ডা. বাবলু। টহল পুলিশের তল্লাশিকালে তিনি এসব ওষুধ আমদানির বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ডা. বাবলু জানিয়েছেন, তিনি সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতীয় ওষুধ এনে নগরীর হাজারী গলির বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করে আসছেন এবং বর্তমানে খুলশীর জাকির হোসেন বাই লেইনে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। জব্দকৃত ২ লাখ ৪০ হাজার ওষুধের দাম প্রায় ১০ লাখ আট হাজার টাকা।
ওই চিকিৎসকের সঙ্গে থাকা রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডাক্তারের একটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। চোরাই পথে ভারতীয় ওষুধ এনে বিক্রয় চেষ্টার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি প্রণব চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন