নেছারাবাদে দশম শ্রেনীর ছাত্রী ছাদিয়া ইসলাম স্বামীর বাড়ি যেতে আপত্তি করায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা মরিয়াম বেগমের হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫ম শ্রেনীর সনদ অনুযায়ী ১৩ বছর সাতমাস বয়সী ওই বালিকা বধু ছাদিয়া নান্দুহার ইউনাইটেড বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। ঘটনায় স্বামীর সংসার থেকে মুক্তি সহ বাবা মায়ের নির্যাতন থেকে বাঁচতে ওই বালিকা বধূ উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ইউএনও এর কাছে দেওয়া দশম শ্রেনীর ওই ছাত্রীর অভিযোগে জানাযায়, তার মা মরিয়ম বেগম গত জানুয়ারী মাসে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায় এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায় সাদিয়াকে। সেখানে জনৈক আলম মিয়া নামের এক যুবকের সাথে জোড় করে ছাদিয়াকে বিয়ে দেয়া হয়। তারপর ছাদিয়াকে স্বামীর কাছে রেখে তার মা বাড়ি চলে আসেন। সেখানে ছাদিয়া পড়া লেখার কথা বললে তার স্বামী তাকে মারধর করে। এক পর্যায় ছাদিয়া পালিয়ে বাবার বাড়িতে চলে এসে তার দাদা ( বাবার বাবা) মকবুল হোসেনের ঘরে থেকে পড়ালেখা শুরু করেন। স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসার কারনে তার মা মরিয়াম বেগম ও বাবা রফিকুল ইসলাম এবং কথিত স্বামী আলম মিয়া তাকে মারধর করে স্বামীর বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করছে। এঘটনায় সাদিয়া তার বাবা,মা ও স্বামীর অত্যাচার থেকে বাচার জন্য এবং পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউএনওর কাছে আবেদন জানান। অভিযোগ পেয়ে ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু সাদিয়ার বাবা ও মাকে বুধবার সকালে তার অফিসে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ করেছেন। ছাদিয়ার দাদা মকবুল হোসেন বলেন তার ছেলে রফিকুল ইসলাম তাকে মারধর করতে দ্বিধা করে না এবং পুত্রবধু মরিয়াম বেগমর অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ওই মেয়েটিকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। অভিযোগ সম্পর্কে রফিকুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন