পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা প্রকৃত মালিককে বঞ্চিত করে বেনামী লোকের নামে প্রদান করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট (ভূমি হুকুম দখল) এলএ শাখায় কিছু অসৎ কর্মচারী ও স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তায় ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এ জালিয়াতি করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী ও দালাল চক্র লাভবান হয়েছে।
অথচ জমির প্রকৃত মালিক ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত পাবার জন্য আবেদন করে দিনের পর দিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখায় ধর্না দিয়েও পাচ্ছে না কোনো প্রতিকার। অপরদিকে এ কাজে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারী অন্যত্র বদলি হওয়ায় ভুক্তভোগী জমির মালিককে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট শাখার কেউ। ফলে ভুক্তভোগীরা যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবিসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পদ্মা সেতু বহুমুখী প্রকল্পে শিবচরের ৯৯ নং চরচান্দ্রা মৌজার ১৫৪ নং খতিয়ানের বিআরএস ৩১৪৫ দাগের জমি ০৬/২০১৭-১৮ নং এল এ কেস মুলে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরপর যথারীতি ওই দাগের জমির প্রকৃত মালিক ইয়াছিন শেখের নামে এল এ শাখায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা আল-মামুন গত ১৯-১২-১৮ তারিখে নোটিশ ইস্যু করে। কিন্তু ওই চরচান্দ্রা মৌজার অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার সাইদুর রহমানের সহায়তায় স্থানীয় দালালচক্রের কিছু লোক জমির প্রকৃত মালিক ইয়াছিন শেখের পুত্র মো. আবদুল কুদ্দুস শেখ বা ওয়ারিশদের কে কিছু জানতে না দিয়ে অতিগোপনে শরীয়তপুরের জাজিরার দিয়ারা গোপালপুর গ্রামের সাকিমালী চৌকিদারের ছেলে খবির মাদবরকে জমির ক্ষতিপূরণের মালিক ইয়াছিন শেখের পুত্র কবির শেখ সাজিয়ে ক্ষতিপূরণের ২০ লাখ ৫৬ হাজার পাঁচশত আটাশ টাকা উত্তোলন করে। অথচ কবির শেখ নামে ইয়াছিন শেখের কোন পুত্র নাই বলে জানান আবদুল কুদ্দুছ শেখ ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতার নামে অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকার প্রসঙ্গে এল এ শাখায় গেলে আমার সাথে কেউ কথা বলছে না বা কোনো প্রকার তথ্য দিচ্ছে না। আমাদের জমির ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। ফোন বন্ধ পাওয়ায় সার্ভেয়ার সাইদুর রহমান ও এল এ অফিসার আল মামুন এর কোন মন্তব্য জানা যায়নি। অপরদিকে ভ‚মি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. আবিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবির মাদবর নামে যে ব্যক্তি কবির শেখ সেজে এল এ শাখা থেকে যে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে তা ফেরত দান করার জন্য স্বারক নং মিস কেস ২/২০১৯ মুলে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। টাকা ফেরত না দিলে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করে টাকা আদায় করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, এ রকম ঘটনায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন