শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ব্রিটেন সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনদিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল যুক্তরাজ্য পৌঁছেছেন। এ সফরকে কেন্দ্র করে এমন সব বিতর্ক ও ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে যা অনেক দিক থেকেই নজিরবিহীন। কয়েক দিন আগেই লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ‘নারী ও ইসলাম সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভুল ধারণার’ তীব্র সমালোচনা করে তাকে ‘একবিংশ শতাব্দীর ফ্যাসিস্ট’ বলে বর্ণনা করেছেন। আর জবাবে মি. ট্রাম্প বলেছেন, সাদিক খান একজন ‘স্টোন-কোল্ড লুজার’।
বিরোধী দল লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যৃাট পার্টির নেতাসহ বেশ কিছু রাজনীতিবিদ মি. ট্রাম্পের সম্মানে দেয়া নৈশভোজ বয়কট করার কথা জানিয়েছেন। লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা তার সফরের প্রতিবাদ জানাতে এমন একটি মানবাকৃতির বেলুন ওড়াবেন যাতে মি. ট্রাম্পকে এক অতিকায় ন্যাপি-পরা শিশু হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে - যিনি আর কয়েকদিন পরই বিদায় নেবেন - এ সফরকে ব্রিটেন ও আমেরিকার বিশেষ সম্পর্ক জোরদার করা এক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাকিংহ্যাম প্রাসাদে রানি এলিজাবেথের সাথে সাক্ষাৎ, ওয়েস্টমিনস্টার গির্জা সফর, অনামী যোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রিন্স চার্লসের সাথে সাক্ষাত এবং রাতে বাকিংহ্যাম প্রাসাদে নৈশভোজ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও তার কথা ও কাজ দিয়ে বিতর্ক তৈরির ক্ষেত্রে একজন পারদর্শী লোক। অনেক সময়ই তিনি কথা বলার সময় প্রেসিডেন্টসুলভ আদবকায়দা মেনে চলেন না। গতবার ব্রিটেন সফরের সময় দেখা গিয়েছিল, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাথে সাক্ষাতের রীতিনীতি মেনে চলার ক্ষেত্রেও মি. ট্রাম্প গোলমাল বাধিয়ে বসেছেন। ব্রিটেনের রানির সাথে সাক্ষাতের সময় অতিথিদের বেশ কিছু রীতিনীতি মেনে চলতে হয়। একজন বিশেষজ্ঞ ডায়ানা ম্যাথার বলছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি নিয়ম মানতে হবে।
১. রানিকে চুমু খাওয়া যাবে না : কিন্তু ১৯৭৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এই ভুলটি করেছিলেন। অবশ্য তিনি রানিকে চুমু খাননি, খেয়েছিলেন রানির মা-কে। তিনি ব্যাপারটা একেবারেই পছন্দ করেননি। বিদেশী অতিথিদের রানির সামনে বাউ বা মাথা ঝোঁকাতে হয় না, তবে মাথা সামান্য নামানোকে শিষ্টাচার সম্মত বলে মানা হয়। রানি যদি অতিথির দিকে হাত বাড়িয়ে দেন - তাহলে তার সাথে আপনি করমর্দন করতে পারেন।
২. রানির আগে হাঁটা যাবে না : রাজকীয় গার্ড অব অনারের সময় অতিথি রাষ্ট্রপ্রধানকে রানির পাশাপাশি বা একটু পেছনে পেছনে থেকে হাঁটতে হয়। কিন্তু এর আগে দেখা গিয়েছিল, রানি এলিজাবেথের আগে আগে হাঁটছেন মি. ট্রাম্প - যা শিষ্টাচার সম্মত নয় এবং রানির দিকে পেছন ফিরে থাকার সামিল।
৩. রানির আগে খাওয়া শুরু করা যাবে না : রাজকীয় ভোজের সময় রানি খাওয়া শুরু করার আগেই অতিথি খেতে শুরু করা শিষ্টাচারসম্মত নয়। তাছাড়া রানি যখন খাওয়া শেষ করবেন তখন আপনাকেও খাওয়া শেষ করতে হবে। তা না হলে আপনার খাওয়া শেষ হয়েছে কিনা তার অপেক্ষা না করেই আপনার প্লেট সরিয়ে নেয়া হবে।
৪. জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় কথা বলা যাবে না : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একবার এ নিয়ম ভঙ্গ করে জাতীয় সঙ্গীত বাজছে এমন সময় কথা বলেছিলেন।
৫. যৌনতা, ধর্ম ও রাজনীতির কথা বলা যাবে না : রাজকীয় ভোজের সময় যৌনতা, ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলা নিষেধ। যৌনতার জায়গা শোবার ঘরে, তার বাইরে নয়। আর ধর্ম নিয়ে কথা বলাটা রীতিমত বিপজ্জনক, আর রাষ্ট্রের প্রধানদের জন্য অন্য দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলাটা শোভন নয়। সূত্র : বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন