শেরপুরের নকলা উপজেলার দক্ষিণ নকলা গ্রামে ১১ জুন দুপুরে অভিযান চালিয়ে ১০৯টি ইয়াবা বড়িসহ দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ মিয়া এবং স্কোয়াড অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। ১১জুন রাতে র্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, র্যাবের একটি আভিযানিক দল ১১ জুন দুপুর ১২টা ১০ এর দিকে শেরপুরের নকলা উপজেলার দক্ষিণ নকলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় স্থানীয় মো. সিরাজ মাস্টারের বসতবাড়ির উঠান থেকে দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাদক কারবারিরা হলেন শেরপুরের নকলা উপজেলার দক্ষিণ নকলা গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মাস্টারের ছেলে হাসান মো. শোয়েব (৪০) ও মৃত সিরাজ আলীর ছেলে মো. আমু হোসেন (৫০)। তাদের কাছ থেকে মোট ১০৯টি অ্যাম্ফিটামিনযুক্ত ইয়াবা বড়ি এবং দুইটি মুঠোফোন সেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) টেবিলের ১০(ক) ধারায় নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেপ্তারৃকত শোয়েব নকলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সফিকুল ইসলাম জিন্নাহর ভাতিজা। এবিষয়ে সফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, আমরা ইতিপূর্বেও এ মাদক সেবীকে পুলিশে দিয়েছিলাম। আমরা তার উপযুক্ত বিচারই চাই। আর এ গ্রেফতারে আমাদের পরিবারের সহযোগিতা ছিল।
অপরদিকে তার বিরোধী পক্ষ এ নিয়ে নকলা উপজেলায় নানাভাবে জনাব সফিকুল ইসলাম জিন্নাহর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আসছে বলে নৌকার সমর্থকরা জানিয়েছেন। তাদের দাবী জিন্নাহ সাহেব কোনদিনই সোয়েবকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেননি।
এদিকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদ জানান, আমরা আমাদের মতো করেই অভিযান করেছি। আমরা কারোর সহায়তা নেয়ার প্রয়োজন করি নাই। অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হবেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন