কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চাঞ্চল্যকর এরশাদুল ইসলাম চয়ন হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-আবদুল আউয়াল (৪৪), আল আমিন (৪০) ও সুফল মিয়া (৩৬)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- আব্দুল করিম (৫৪), সাফিয়া খাতুন (৪৭), আব্দুল কাদির ফকির (৫৯), সোহেল মিয়া (৩৮), রিপা আক্তার (৪৪), জহুরা খাতুন ওরফে অনুফা (৫৪) ও আব্দুর রউফ ফকির ওরফে রূপ মিয়া (৫৪)।
রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল আউয়াল ও সুফল মিয়া এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত সোহেল মিয়া ছাড়া বাকি সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। ১০ আসামিই হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের টান সিদলা গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে নিহত এরশাদুল ইসলাম চয়ন টান সিদলা গ্রামেরই জহিরুল ইসলাম রতনের ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স সম্পন্ন করে বিসিএস দিয়ে রেলওয়েতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকুরিতে যোগদানের মাত্র দু’দিন আগে ২০০৫ সালের ২রা ডিসেম্বর পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন এরশাদুল ইসলাম চয়ন। দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর গতকাল চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন। মামলার রায়ে নিহতের বাবা জহিরুল ইসলাম রতন এবং মা মোমেনা খাতুন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন