পুলিশের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমান (মিজান) সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ডিআইজি মিজানের বিষয়ে তদন্ত শেষ পর্যায়ে, তিনি আইনের ফাঁক দিয়ে পালাতে পারবেন না।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে তিনি আরো বলেন, খুব শিগগিরই জানা যাবে তদন্ত প্রতিবেদন। সে যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে সেজন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার’ শিরোনামে মিজানের বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পরে বিষয়টি তোলপাড় সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর পর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্্েরাপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান শেষে স¤প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার এক ভাই ও ভাগ্নের নামে করা সম্পদসহ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য পাচারের অভিযোগে ইতোমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দুদক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন