শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঝালকাঠিতে শ্রমিকে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮ জনের নামে মামলা

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৯, ৫:৪৪ পিএম

ঝালকাঠিতে সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আলিম হাওলাদারকে হত্যার ঘটনায় আট শ্রমিকের নামে মামলা হয়েছে। নিহতের মা মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতে ঝালকাঠি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। আসামীদের গ্রেপ্তারের পর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে রবিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এ এইচ এম ইমরানুর রহমান সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করেন। শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের নির্মাণাধীন সড়কের পাশে একটি নালা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাস খেলায় বাধা দেওয়ায় অন্য শ্রমিকরা তাকে মারধর করে মাথা মাটিতে পুতে হত্যা করেছে বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। নিহত আলিম হাওলাদার ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে। রবিবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা সোনাপুর সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করেন আলিম হাওলাদারসহ ১০জন শ্রমিক। কাজ শেষে শুক্রবার রাতে সোনাপুর শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরি করা ব্যারাকে সবাই ঘুমাতে যায়। এসময় অন্য শ্রমিকরা তাস খেলার কারণে ঘুমে সমস্যা হয় আলিম হাওলাদারের। তিনি অন্য শ্রমিকদের তাস খেলতে নিষেধ করেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে অন্য শ্রমিকরা মারধর করে পাশের একটি নালায় মাটিতে মাথা পুতে হত্যা করে। আলিম নিখোঁজ হয়েছে বলে শনিবার সকাল থেকে প্রচার করেন শ্রমিকরা। খবর পেয়ে তাঁর স্বজনরা রাজপাশা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন। বিকেলে সোনাপুর এলাকার একটি নালায় তাঁর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের চাচা মনির হোসেন হাওলাদার অভিযোগ করেন, তাস খেলায় বাঁধা দেওয়ায় আমার ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করে মাটিতে পুতে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাস খেলা নিয়ে ঝগড়ার খবর আমাদের কাছে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেখেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় ওই শ্রমিকের নাক থেকে রক্ত ঝড়ছিল, তাঁর গলায়ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঝালকাঠি থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কি কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলার ৮ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন