গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোনের (ডিবিএম) মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, বিদেশী ঋণের জালে দেশকে আটকে ফেলছে সরকার। তারা বলেন, ব্যবসায়ী বান্ধব বাজেটে কর্মসংস্থানের দিক নির্দেশনা নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল মত বিনিময় সভার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিবিএমের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আলম মাসুদ। সঞ্চালনা করেন একশন এইডের আসগর আলি সাবরি।
মূল প্রবন্ধে প্রস্তাবিত বাজেটকে দায়সারা গোছের প্রথা বদ্ধ উল্লেখ করে বলা হয় এখানে দেশের মূল সমস্যাগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। বৈষম্য কমানোর দিকে নজর দেওয়া হয়নি। মান সম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাহ বলেন, বাজেট নিয়ে জন প্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যদের সাথে আলোচনা করা হয় না। এমনকি সংসদীয় কমিটিগুলোতেও এ বিষয়ে মতমতা চাওয়া হয় না । তাহলে বাজেট আসলে প্রণয়ন করে কে ? বাজেটে ধনীদের জন্য সুবিধা দেওয়া হয়। বাদশা বলেন, কৃষকের বাম্পার ফলনে সরকার বিব্রত হয়েছে মনে হচ্ছে। না হলে একই সময়ে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় কিভাবে। সরকারে অন্যতম শরীক দলের এই নেতা বলেন, মন্ত্রীরা প্রায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা বলে যা হবে প্রযুক্তিভিত্তিক। শিক্ষায় কম বরাদ্দ দিয়ে, প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের মাসব্যাপি অনশন দিয়ে কিভাবে এই বিপ্লব হবে তা মাথায় আসে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন¦য়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদেশী ঋণের জালে দেশকে আটকে ফেলছে সরকার। বাজেট বৈষম্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাজেটের বরাদ্দ নিয়ে আলোচনার চেয়ে ব্যয়ের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত। ১০০ টাকা বরাদ্দ দিয়ে ৬০ টাকা লুটে নেওয়া হচ্ছে। তাই সরকারের নীতিতে পরিবর্তন না আসলে বরাদ্দ বাড়িয়েও লাভ নেই। সব লুট হবে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, বাজেট হয়েছে লুটেরা শ্রেণীর জন্য কারণ চোরের নজর সব সময় বস্তার দিকে। তিনি বলেন, ঘরে বসে সমালোচনা করে লাভ নেই পথে নামতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজ্জেকুজ্জামান রতন বলেন, বাজেট হয়েছে ব্যবসায়ী শিল্পমালিকদের স¦ার্থে এখানে শ্রমিকদের জন্য কিছু রাখা হয়নি।
সিপিবি নেতা আবদুল্লাহ আল কাফী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ধনী, ব্যবসাবান্ধব বাজেট। এর ফলে জনগণের মধ্যে বৈষম্য বাড়বে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, সংবিধানে অবৈধ উপার্জনের বিরোধীতা করা হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করা সরকার বার বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে, এটা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন