মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে লিটন ঘোষ (৪৮)নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে খুন করে থানায় মাথা নিয়ে হাজির হয়েছে লবু দাস নামে খুনী। দুপুরে উপজেলার গৌর মন্দিরে এ খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খুনীকে গ্রেপ্তার করেছে। লিটন ঘোষ কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত মতিলাল ঘোষের ছেলে। লিটন ঘোষ নাসিরনগর সদরের ঘোষ পাড়ায় তার বোন মিনা রানী ঘোষের স্বামী নেপাল ঘোষের বাড়িতে থেকে বিভিন্ন কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ঘাতক লবু উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার পরমানন্দ দাসের ছেলে। তাদের দুইজনের মধ্যে আগে থেকে কোনো পরিচয় ছিল না। খুনের কারণ সম্পর্কেও তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায় নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর
লিটনের বোন মিনা রানী ঘোষ জানায়, ঘটনার আগে লিটন ঘোষ বোনের বাড়ী থেকে দুপুরের খাওয়া শেষে নাট মন্দিরের ভিতর ঘুমিয়ে পড়লে লবু দাস (৫০) ঘুমন্ত লিটনকে ধারালো দা দিয়ে মাথা কেটে ব্যাগে ভরে নিয়ে থানায় গিয়ে হাজির হয়। এ সময় পুলিশ তার ব্যাগ থেকে ধারালো দা ও লিটনের মাথা উদ্ধার করে। লিটনের বোন মিনা রানী ঘোষ আরো জানায়, ৫ ভাই ২ বোনের মাঝে লিটন ভাইদের মাঝে সবার ছোট। সে নাসিরনগর থেকে মানুষের কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করত ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লবু দাস একজন চিহ্নিত মাদকসেবী। মাস ছয়েক আগে মতি দাস নামে তার এক চাচাকে হত্যার ঘটনায়ও সে অভিযুক্ত। এ ঘটনায় সম্প্রতি সে জামিনে ছাড়া পেয়ে আসে। আজকের হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজিদুর রহমান জানান, লবু ব্যাগের করে থানায় মাথা নিয়ে আসে। সে বলে আরো মাথা আনবে। ধারণা করা হচ্ছে, সে মানসিক রোগী। কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা চলছে। জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন