বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলা ফিচার

বাংলাদেশ সেনসেশন

প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শামীম চৌধুরী

মুস্তাফিজুর যেদিন বিক্রি হয়েছিলেন ১ কোটি ৪০ লাখ রূপীতে, তখন খুশির আনন্দে কি লাফটাই না দিয়েছিলেন মেন্টর ভি.ভি.এস লক্ষণ! অনেক কম টাকায়ই যে পাওয়া গেল বাঁ হাতি কাটার মাস্টারকে! আসলেই অনেক কম টাকায় পেয়েছে সানরাইজার্স। নিউজিল্যান্ডের গতির বোলার ট্রেন্ট বোল্টকে ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপীতে কিনে তার সার্ভিস পেয়েছে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ মাত্র ১ ম্যাচ। তাও আবার মুস্তাফিজুরের হ্যামেস্ট্রিং ইনজুরিতে কোয়ালিফাইয়ার ‘টু’ তে সুযোগ পাওয়া ম্যাচে ৪ ওভারে খরচা ৩৯! সাড়ে ৫ কোটি রূপীতে বিক্রি হওয়া আশিষ নেহরার সার্ভিস পেয়েছে দলটি ৮ ম্যাচ। যুবরাজ সিংকে ৭ কোটি রূপীতে কিনে ১০ ম্যাচ খেলাতে পেরেছে সানরাইজার্স ! অথচ, মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ রূপীতে মুস্তাফিজুরকে কিনে ১৬ ম্যাচে অন্য এক বিস্ময় বোলারকে দেখেছে বিশ্ব। ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট, তার উপরে আছেন ৪ জন। তবে যারা অন্ততঃ ২০ ওভার বল করেছেন, তাদের কারো খরচা ওভারপ্রতি ৭.০০’র নীচে নয়। টি-২০ ক্রিকেট মানে ব্যাটিং বিনোদন, সেখানে ওভারপ্রতি ৬.৯০ রান খরচা মুস্তাফিজুরের! আইপিএলের অভিষেকেই বাজিমাত, আসর সেরা উদীয়মানের পুরস্কার, ১৫ লাখ টাকা প্রাইজমানি। তাও আবার আইপিএল’র ওয়েবসাইটে ৮৩ শতাংশ ভোট পেয়ে! আসরের সেরা একাদশেও উঠেছে তার নাম। অর্জনের পর অর্জন, বর্ষসেরা ওয়ানডে স্কোয়াড, টি-২০ বিশ্বকাপ সেরা দলের পর আইপিএল সেরা একাদশ। আইপিএল’র আসরে খেলেই টুয়েন্টি-২০তে উইকেট শিকারের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মুস্তাফিজুর।
কমেন্টেটর রমিজ রাজা ঘোর বাংলাদেশ বিদ্বেষী, নভোজত সিং সিধু ছুঁতো পেলেই বাংলাদেশের ক্রিকেট, ক্রিকেটারদের মান নিয়ে তোলেন প্রশ্নÑঅথচ, তারাই কি না মুস্তাফিজুরের এক একটি ডেলিভারির প্রশংসা করছেন! ১৯৮৯ থেকে ২০০৩, এই ১৪ বছর টেস্ট ওয়ানডে ছড়ি ঘোরানো পাকিস্তান পেস বোলার ওয়াকার ইউনুস পর্যন্ত মুস্তাফিজুরের এক একটি অস্ত্র প্রয়োগ দেখে বিস্মিত! মুস্তাফিজুরের হাতে বল, রান আপের প্রস্তুতিÑকমেন্ট্র বক্স থেকে ওয়াকারের কমেন্টস ‘দ্য ম্যাজিশিয়ান ইজ কামিং।’ টেস্ট, ওয়ানডে মিলিয়ে ৭৮৯ উইকেট, সময়ের সেরা বোলিং সেনসেশন যদি এমন মূল্যায়ন করেন, তাহলে মুস্তাফিজুর সম্পর্কে কৌতুহল তো বেড়ে যাওয়ারই কথা। কৌতুহলটা বাড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা পেস বোলার ডেল স্টেইন। মুস্তাফিজুরের মাঝে নাকি দেখতে পাচ্ছেন তিনি বাঁ হাতি পেস বোলিংয়ে সর্বকালের সেরা ওয়াসিম আকরামকে! ডাগ আউটে বসে কোলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর ওয়াসিম আকরাম দেখেছেন ২০ বছর বয়সী এক পুঁচকের এক একটি বল ডেলিভারি, বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে মিলিয়ে নিয়েছেন নিজের সেই সমৃদ্ধ অতীততে। অন্ততঃ নিজে বেঁচে থাকতে থাকতে নিজের ক্লোন তো দেখতে পেলেন ওয়াসিম আকরাম।
আইপিএলে হবেন দলের ট্র্যাম্পকার্ড, এমনটা ধরেই নিয়েছিলেন সানরাইজার্স কোচ টম মুডি, মেন্টর ভি ভি এস লক্ষণ। টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে সব আলো যেখানে থাকার কথা ব্যাটসম্যানদের উপর, সেখানে আইপিএলের চলমান আসরের শুরু থেকেই আলোচিত নাম মুস্তাফিজুর। প্রতিদিনই কোন না কোন লিজেন্ডারির মুখ থেকে শুনতে হচ্ছে মুস্তাফিজুর বন্দনা। যে দলে কিউই গতির বোলার ট্রেন্ট বোল্ট আছেন, সেই বোল্ট মুস্তাফিজুরের কাছে যেনো নস্যি। কাটাচ্ছেন এই কিউই সানরাইজার্স হায়দারাবাদের ড্রেসিং রুমে, হয়ে গেছেন দলের নেট বোলার! আইপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের নেই টানা ১০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। সেখানে টানা ১৫ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজুর। ইংরেজি, কিংবা হিন্দিতে কথা বলতে পারেন না, মুস্তাফিজুরের মতো সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মেধাবী বোলারের বেলায় এটা কোন সমস্যা কিংবা অযোগ্যতা নয়। বরং মুস্তাফিজুরকে বুঝতে, তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে, তার কাছ থেকে কৌশলে সেরাটা আদায় করতে টীমমেটরা শিখছেন বাংলা! আইপিএলে পুরস্কার বিতরণী ম্যাচে বাংলায় অনুভুতি প্রকাশ, এমন বিরল দৃশ্যও উপস্থাপন করেছেন মুস্তাফিজুর। সব মিলে ১৬ ম্যাচের মধ্যে ৪ ম্যাচ উইকেটশূন্য। ধোনীর দল পুনে সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ২টি ম্যাচ উইকেট শূন্য। বিশাখাপত্তমে শেষ দেখায় আশিষ নেহরার শেষ ওভার থ্রিলারে সানরাইজার্স হেসেছে, মুস্তাফিজুরের ১৭ এবং ১৯তম ওভারের মিতব্যয়ী বোলিংই সানরাইজার্সের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে ম্যাচটি। প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাটিং পাওয়ার প্লে এবং শ্লগে করেছেন বল, দিয়েছেন নির্ভরতা। সানরাইজার্স হায়দারাবাদ এই প্রথম আইপিএলে কোয়ালিফাইয়ার রাউন্ড টপকে ফাইনালে এবং স্বপ্নের ফাইনাল জিতে ট্রফিতে রেখেছে হাত, জিতেছে ১৫ কোটি রূপী প্রাইজমানি, তা মুস্তাফিজুরের মতো বিস্ময় বোলার ছিলেন বলেই সম্ভব হয়েছে তা। যে বেঙ্গালুরুতে স্বাগতিকদের কাছে হার দিয়ে শুরু, সেই বেঙ্গালুরুতে স্বাগতিকদের কাঁদিয়ে শিরোপা। ফাইনালে নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছেড়েছিলেন কোহলী, গেইল। অথচ পাওয়ার প্লে’র ৬ষ্ঠ ওভারে যেই না মুস্তাফিজুরের হাতে উঠেছে বল, চোখ ঝাপসা হয়ে উঠেছে টি-২০’র দানবীয় ব্যাটসম্যান গেইলের। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান খরচাতেই ছন্দে ফিরতে পেরেছে সানরাইজার্স। শেষ ওভারে ১৮ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ দিয়ে ভুবনেশ্বরের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর ১৭ এবং ১৯তম ওভারে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে।
বিশাখাপত্তমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে (৩/১৬) দলটিকে নাকাল করে ছেড়েছেন মুস্তাফিজুর। মেডেন ওভার দিয়ে বোলিং শুরু, আইপিএলের চলমান আসরে এমন দৃষ্টান্তও সবার আগে স্থাপন করেছেন মুস্তাফিজুর। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪-১-৯-২, ২৪টি বলের মধ্যে ১৭টি ডট, নবম ডেলিভারিতে প্রথম রান খরচাÑএমন বিস্ময় মুস্তাফিজুরকে দেখেছে বিশ্ব। মুস্তাফিজুরের ভয়ংকর এক ইয়র্কার ডেলিভারিতে বাঁচতে পারেননি, ভারসাম্য হারিয়ে পীচের উপরই গেছেন পড়ে আন্দ্রে রাসেল! আইপিএলের সদ্য সমাপ্ত আসরে ওটাই যে এখন পর্যন্ত সেরা ডেলিভারি! কাটার বিস্ময় হিসেবে হয়েছে যে ছেলেটি আবির্ভূত, স্টক ডেলিভারির তালিকায় আছে তার ইয়র্কার, শ্লোয়ার এমনকি বাউন্সার অস্ত্রও। ধাঁ ধাঁ’য় ফেলে দেয়া এই বোলারকে চোখ বুজে খেলা, কিংবা অনোন্যপায় হয়ে উইকেট দিয়ে আসা ছাড়া উপায় কি বলুন? মুস্তাফিজুরকে আইপিএল পরবর্তী পেতে সাসেক্স আছে মুখিয়ে, দলটির অধিনায়ক লুক রাইট এই বাঁ হাতি পেস বোলারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। মুস্তাফিজুরকে পেতে বিগ ব্যাশের ৬টি দলের মধ্যে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে টাগ অব ওয়ার। সাসেক্স তো যে কোন মূল্যে মুস্তাফিজুরকে পেতে উদগ্রীব। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন আশরাফুল, সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে তার সেঞ্চুরি আলোচনায় এনেছে আশরাফুলকে। ২০০৯ থেকে সাকিব আলোচিতÑএক সঙ্গে তিন ভার্সনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেরা অল রাউন্ডারের মুকুট মাথায় তোলায়। কিন্তু বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটার মুস্তাফিজুরের মতো সাড়া ফেলতে পারেননি। অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আলোচনায় থাকতে পারেননি।
একটি ছেলের খেলা দেখতে সারা দেশ উৎসবমুখর, রাস্তা-ঘাটে টিভি সেটের সামনে জড়ো দর্শকÑতাও আবার বিদেশী ক্রিকেট লীগে। ভাবুন তো। কক্সবাজারের একটি সিনেমা হলে তো সিনেমা বাদ দিয়ে প্রজেক্টারের মাধ্যমে মুস্তাফিজুরের খেলা দেখানো হয়েছে, মুস্তাফিজ ভক্তদের দাবিতে! মুস্তাফিজুরকে নিয়ে প্রতিদিনই কোন না কোন নিউজ হয়েছে। মুস্তাফিজুরের আগমনে পড়েছে সাড়া, ক্রীড়া উপমন্ত্রী নিজ হাতে নেত্রোকোনার বালিশ মিস্টি মুখ করিয়েছেন, পরিয়ে দিয়েছেন মাথায় ফুলের মুকুট! প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী সভায় যেখানে দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলো হয় অনুমোদন, সেই সভায় পর্যন্ত মুস্তাফিজ বন্দনা। তাও আবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে। দেশে ফিরে প্রতিটি মিনিট কাটছে কেমন মুস্তাফিজুরের, সেটাও নিউজ। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম তেতুলিয়া এখন সবার চোখের কেন্দ্রে। ইলিশ ভাজা, খিচুঁড়ি, গাছে ঝুলতে থাকা আমÑমুস্তাফিজুরের প্রিয় সব খাবারের মেন্যু পর্যন্ত কৌতুহলী পাঠকের আগ্রহের নিউজ। জানেন, যশোর, সাতক্ষীরার প্রধান বাহন ইজি বাইকের পেছনে ও নাকি মুস্তাফিজুরের ছবি!
মুস্তাফিজুর বাংলাদেশের গর্ব হয়েও ভারত মিডিয়ায় মুস্তাফিজুর বন্দনা বাংলাদেশ মিডিয়াকেও গেছে ছাড়িয়ে। এমন রহস্যমানবের জন্য সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডাকঘরটির ব্যস্ততা বেড়েছে এখন। এস এম এস, ফেসবুক, ই-মেইলের যুগে চিঠি-পত্র লেখার অভ্যেস যেখানে গেছে হারিয়ে, সেখানে মুস্তাফিজুরদের বাড়ির পাশের ডাকঘরে নাকি মুস্তাফিজুরকে লেখা চিঠির স্তূপ! আর তার বাবার সেলফোনে তো সারাক্ষণ উঠছে বেজে রিং টোন! ফোনগুলোর অধিকাংশই নারীকণ্ঠ, দাবি একটাইÑমুস্তাফিজুরের কন্ট্রাক্ট নম্বর। ওয়ানডে’র দ্রুততম সেঞ্চুরির পর ঢাকায় সে কি আফ্রিদি সেনসেশন? কোকা-কোলা ইন্ডিপেনডেন্স কাপ ক্রিকেটে মহিলা গ্যালারিতে প্লাকার্ড হাতে ‘ম্যারি মি আফ্রিদি’ লেখা ব্যানার পেয়েছে শোভা। মুস্তাফিজুরের ক্রেজটা এখন এতোই, যে এমন প্লাকার্ড নিয়ে কোন সুন্দরীর হাজির হওয়ার সম্ভাবনাকে যাচ্ছে না উড়িয়ে দেয়া!
একজন ক্রিকেটারের মুখ থেকে একটা কথা শুনতে এতোটা সময় প্রতীক্ষা করতে হয়নি কখনো বাংলাদেশ মিডিয়াকে। একাডেমি ভবনের ভেতরে মুস্তাফিজুরের ফিটনেস টেস্ট নিচ্ছেন ফিজিও, প্রধান চিকিৎসক, বাইরে ছোট্ট করিডোরে দাঁড়ানোর জায়গা নেই, সেখানেই মিডিয়ার ভিড়! আইপিএল হিরো হাসিমুখটা এক ঝলক দেখেছে মিডিয়া, এরপর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনে দেড় ঘন্টারও বেশি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে! সেখান থেকে ফিজিও’র সঙ্গে এলেন বেরিয়ে আইপিএল সেরা উদীয়মান,বাইরে টেলিভিন চ্যানেলগুলোর সাজানো বুমেও হলো না কাজ, হাসতে হাসতে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মেডিকেল রুম হয়ে বিসিবি’র সিইও রুমেÑহাটতে হাটতে পথে দেখা হলো জাতীয় দলের টীম ম্যানেজার খালেদ মেহমুদ সুজন, ২ নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে। হলো হ্যাই হ্যালো। অধিনায়ক মাশরাফি তো দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে ধরলেন মুস্তাফিজুরকে। কিন্তু যার মুখ থেকে একটি কথা শোনার জন্য এতো অধীর অপেক্ষা, সেই মুস্তাফিজুরের মুখ থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে মিডিয়ার কেউ কেউ কথা বের করতে পারলেও আইপিএলের অভিজ্ঞতা নিয়ে যে কোন কথাই শুনতে পায়নি মিডিয়া। শুধুমাত্র তার হাসি-খুশি চেহারা, আল অভিব্যক্তি দিয়েই বুঝে নিতে হয়েছে তার মানসিক অবস্থা।

রিয়ালের এগার
১৩ জুন ১৯৫৬ - রিয়াল মাদ্রিদ ৪ : ৩ স্টেড রেইম


৩০ মে ১৯৫৭ - রিয়াল মাদ্রিদ ২ : ০ ফিওরেন্তিনা


২৮ মে ১৯৫৮ - রিয়াল মাদ্রিদ ৩ : ২ এসি মিলান


৩ জুন ১৯৫৯ - রিয়াল মাদ্রিদ ২ : ০ স্টেড রেইম


১৮ মে ১৯৬০ - রিয়াল মাদ্রিদ ৭ : ৩ এন্ট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট


১১ মে ১৯৬৬ - রিয়াল মাদ্রিদ ২ : ১ পার্তিজান


২০ মে ১৯৯৮ - জুভেন্টাস ০ : ১ রিয়াল মাদ্রিদ


২৪ মে ২০০০ - রিয়াল মাদ্রিদ ৩ : ০ ভ্যালেন্সিয়া


১৫ মে ২০০২ - বায়ার লেভারকুসেন ১ : ২ রিয়াল মাদ্রিদ


২৪ মে ২০১৪ - রিয়াল মাদ্রিদ ৪ : ১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ


২৮ মে ২০১৬ - রিয়াল মাদ্রিদ ১ : ১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ( ৫ : ৩) (পেনাল্টি শট আউট)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সুমাইয়া ৪ জুন, ২০১৬, ১২:৪৯ পিএম says : 0
মুস্তাফিজ আমাদের গর্ব ও অহংকার।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন