শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘চামচাগিরি’ করছেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা

ঢাবিতে স্মারক বক্তৃতায় ইমেরিটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, দেশের বুদ্ধিজীবীরা দায়িত্ব পালন না করে ‘চামচাগিরি’ করছেন। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মারক বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ শিক্ষাবিদ বলেন, বুদ্ধিজীবীদের মানুষকে পথ দেখানোর কথা। কিন্তু তাঁরা চামচাগিরি করেন, বিশ্বাসঘাতকতা করেন, দায়িত্ব পালন না করে উল্টোটা করেন, এটাই বাংলাদেশে হচ্ছে, চলছে। নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এ বক্তৃতা সভায় বাংলাদেশ : কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির চালচিত্র’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। এসময় সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. নেহাল করিম উপস্থিত ছিলেন।

প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা উন্নতি অনেক করেছি, দৃশ্যমান উন্নতি আছে, অবকাঠামোগত উন্নতি আছে, জিডিপি পরিসংখ্যান আছে, বিদেশি প্রশংসা আছে। কিন্তু ভেতরের দুর্দশা হচ্ছে শিশুর। যে শিশু খেলতে চেয়েছিল, খেলতে গিয়ে ধর্ষিত হলো, খেলতে গিয়ে প্রাণ হারাল। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বাস্তবতা। এই বাস্তবতাই প্রতিফলিত হচ্ছে, এই রাষ্ট্র নৃশংস, এই রাষ্ট্র আমলাতান্ত্রিক। রাষ্ট্রকে ‘কর্তৃত্ববাদী’ মন্তব্য করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘শুধু কর্তৃত্ববাদী বললেই হবে না, এই ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক, পুঁজিবাদী ও চূড়ান্ত। এই রাষ্ট্র ফ্যাসিবাদী। ক্ষমতা যখন একজনের হাতে চলে যায়, সেটা আমরা পাকিস্তানের আমলে দেখেছি, ৪৬ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখছি। এই রাষ্ট্রের আমলাতান্ত্রিক, পুঁজিবাদী চরিত্র আরও বিকশিত হয়েছে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আর সেই জন্যই আজকের দুর্দশা হচ্ছে, আমরা কোনো আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।

তিনি সমাজ থেকে পুঁজিবাদকে দূর করতে না পারলে সমাজ আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রাজনীতি যখন প্রতিহিংসার শিকার হয় বা নেপথ্যে চলে যায়, তখন বুদ্ধিজীবীরা পথ দেখান। এখন বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে পদ-পদবি-পদকের মোহ এত বেশি যে, তারা রাজনীতিবিদদের তথা রাজনৈতিক দলগুলোর মোসাহেবে পরিণত হয়েছেন। বুদ্ধিজীবীদের অধঃপতনের আরেকটি কারণ বা অনুষঙ্গ হলো সামাজিক আন্দোলন থেকে দূরে থাকা।’

মহিউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের কর্তৃত্ববাদী চরিত্র শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বেই এমনটা হচ্ছে। বাংলাদেশে বাস করে প্রতিনিয়ত আমরা এটার মুখোমুখি হই। কর্তৃত্ববাদ মানে অন্যের ওপরে নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়া। এটা আমরা সর্বত্র প্রতিনিয়ত দেখছি। রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও দেখছি, মতামত চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা। এমনকি গণমাধ্যমেও এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে এই চাপিয়ে দেওয়া কর্তৃত্ববাদ সংগতিপূর্ণ না।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Jahangir Alam ১১ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 1
১০০% সঠিক কথা বলেছেন স্যার।
Total Reply(0)
Mahinul Islam Robin ১১ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 1
100% Right
Total Reply(0)
Shahriar Ruman ১১ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 1
১০০% একমত
Total Reply(0)
Live Projapti ১১ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 1
চামচা,কখনও বুদ্ধিজীবি হতে পারেনা, ইবলিশের বংশধর "শয়তান,নামেই পরিচিত।
Total Reply(0)
Abdul Kader ১১ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 1
স্যার ফর্মেশন হওয়ার একটাই তো উপায় শুধু সাম সামি আর ধোঁকাবাজি ওরা বুদ্ধিজীবী হতে পারে না ওরা বুদ্ধিহীন
Total Reply(0)
Trisha Baidya ১১ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 1
kader samsagiri korse porishkar kore bolle valo hoto.
Total Reply(0)
Shafiqul Islam ১১ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 1
sair thik bolcen
Total Reply(0)
Younos ১১ জুলাই, ২০১৯, ৬:১৭ এএম says : 0
আপনাদের কথাগুলো একরকম চামচামি।
Total Reply(0)
Nannu chowhan ১১ জুলাই, ২০১৯, ৯:১৯ এএম says : 1
Sir,you are absolutely right,I don't understand how come these kinde biased people has called as intelactual.....
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন