সম্প্রতি একটি নতুন বই প্রকাশ করেছেন সালমান খুরশিদ। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যখন বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, তখন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন রাজেশ পাইলট, সেই দিনই তিনি অযোধ্যার জনগণকে ছত্রভঙ্গ করার বিষয়ে কথা বলার জন্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই সময় ‘এই বিষয়টির উপর আমল দেওয়া হয়নি’ কারণ সেই সময় রাও ঘুমিয়ে ছিলেন।
রাও ক্যাবিনেটের তৎকালীন বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী সালমান খুরশিদ তার বই ‘ভিসিবল মুসলিম, ইনভিনসিবল সিটিজেন: আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম ইন ইন্ডিয়ান ডেমোক্রেসি’-তে এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন। মসজিদ ধ্বংসের ঠিক পরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় হিংসা মাথা চাড়া দেয়। খুরশিদ তার বইয়ে আরও বলেন যে মসজিদ ধ্বংসের পর দেশের আইনব্যবস্থা নিয়ে নানান প্রশ্ন ওঠে।
খুরশিদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘৬ ডিসেম্বর রাতে, আমি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাজেশ পাইলটের কাছে গিয়েছিলাম কারণ মসজিদ এলাকার আশেপাশের ভিড় ক্রমশই বাড়ছিল। তিনি এই বিষয় সহমত হয়ে বলেন যে যদি কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে রাজি করান তবে তিনি ফৈজাবাদে যাবেন।’ খুরশিদ তার বইয়ে লিখেছেন, ‘আমি জাফর শরীফের (সি কে) কাছে যাই, যাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করতে পারেন। তিনি ফোন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বলেন প্রধান সচিব এ এন ভার্মা বা স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে। ভার্মা তখন কিছু প্রশ্ন করেন, যদিও এটা স্পষ্ট হয়নি যে ঘটনাস্থলে তখনই যাওয়া সম্ভব কিনা।’
সালমান খুরশিদ আরও বলেন, ‘তারপর আমরা পাইলটের কাছে ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলাম যে আমাদের কি করা উচিত? এদিকে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলছে, শেষপর্যন্ত এ ব্যপারের শরীফের বাড়িতে আমরা উত্তর পেলাম, কিন্তু যখন তিনি আবার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলেন তখন তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।’ তিনি বলেন, পরের দিন, আধা সামরিক বাহিনী সেখানে গিয়ে ওই ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয় কারণ এটা বোঝা যাচ্ছিল যে ওই ভিড়ের মন্দিরের ছাদ ভাঙ্গারও পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন