শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে নামতে শুরু করেছে পানি ৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত : অপ্রতুল ত্রাণ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ৭:২১ পিএম

কুড়িগ্রামে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সেই সাথে বেড়েছে দুর্ভোগ। এখনো ঘরে ফিরতে পরছে না দুর্গতরা। গত দশদিনে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। বানভাসীদের জন্য অপ্রতুল ত্রাণের কারণে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। বিশাল এলাকা জুড়ে বন্যা হওয়ায় জনপ্রতিনিধিরা পরেছে চরম বিপাকে। তারা পৌছাতে পারেনি সবার কাছেই। এ অবস্থায় (আজ ২০ জুলাই) কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান এমপি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন এমপি। 

এদিকে শুক্রবার সকালে পানিতে পরে সীমা খাতুন নামে দেড় বছরের একটি শিশু মারা গেছে। সে উলিপুর পৌরসভার খাওনারদরগা গ্রামের ভাটিয়াপাড়ার সাদেক মিয়ার কন্যা। ৮নং ওয়ার্ডের পৌর কমিশনার সোহরাব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এনিয়ে গত দশ দিনে পানিতে ডুবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫জনে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বন্যার ফলে ৫৭টি ইউনিয়নের ৮৯৪টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এতে প্রায় ২ লাখ পরিবারের ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে প্রায় ২ লাখ। ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর। বন্যায় ৫শ কিলোমিটার রাস্তা, ৪০ কি.মি বাঁধ ও ৪১টি ব্রীজ/কার্লভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬৪ হাজার মানুষ ১৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। নলকুপ ক্ষতিগস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪টি।
শুক্রবার সকাল থেকে হু-হু করে পানি নেমে যাচ্ছিল বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। এরমধ্যে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৪ সে.মি কমে গিয়ে ১০৯ সে.মি ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ১১ সে.মি কমে গিয়ে ৮৩ সে,মি এবং ধরলা নদীল পানি ব্রীজ পয়েন্টে ১৭ সে.মি কমে গিয়ে বিপদসীশার ৮৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা দুর্গতদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ৫টি ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও স্যালাইন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে বলে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা:এসএম আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ সামর্থ অনুযায়ী ত্রাণ বিতরণ করছেন। বেসরকারি এনজিওগুলো এখনো হাত গুটিয়ে বসে আছে। ডোনার সহায়তা না করায় তারা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। অপরদিকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকে এগিয়ে আসলেও তা একেবারেই নগন্য। ফলে বানবাসীদেরর মধ্যে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান জানান, সকল বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে
জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৮শ’ মে.টন জিআর চাল, ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ হাজার ৪২৮ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন