মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আজ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ইয়েদুরাপ্পা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:২০ পিএম

লক্ষ্যপূরণ বিজেপির। কর্নাটকে চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রিত্বের শপথ নেবেন তিনি।

কর্নাটকে বহুদিন ধরেই চলতি সরকারের স্থায়িত্ব এবং নতুন সরকার গঠন নিয়ে দোলাচল চলছিলই, কিন্তু এতদিন বিজেপি সরাসরি সরকার গঠনের দাবি জানায়নি। পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা নিশ্চিত হতে চেয়েছিল। আস্থা ভোটের পর জোট-সরকারের পতনের পরই কর্নাটকের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় বিজেপি শিবির। তাই আর দেরি না করে শুক্রবার সকালেই রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান ইয়েদুরাপ্পা। আজ সন্ধ্যাতেই সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।

২২৫ আসন বিশিষ্ট (এক জন মনোনীত সদস্য) কর্নাটক বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৫। এই মুহূর্তে, কর্নাটক বিধানসভায় দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন যোগ করে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৭টি আসন। যেখানে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ঝুলিতে গিয়েছে ৯৯ সমর্থন। এর মধ্যে স্পিকার রমেশ কুমার বৃহস্পতিবার রাতেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে ১৭ জনের মধ্যে তিন জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছেন। তারা হলেন কংগ্রেসের আর শঙ্কর এবং আরও দুই বিদ্রোহী বিধায়ক রমেশ জারকিহোলি ও মহেশ কুমথালি। ফলে তারা আর বিধানসভার সদস্য রইলেন না। বিধানসভা ভেঙে দেওয়া না হলে ভোটেও লড়তে পারবেন না।

তিন জনের সদস্যপদ খারিজের ফলে বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১১১ জনের সমর্থন। নির্দল ও অন্য ছোট দলের সমর্থনে বিজেপি সরকার গড়লেও পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের ভূমিকা বিজেপির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ এরা কুমারস্বামীকে সরালেও এদের অধিকাংশ কিন্তু কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ। ফলে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা অথবা সদস্যপদ খারিজ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বিজেপির কাছে। এই বিধায়কদের সঙ্গে কংগ্রেসের ফের যোগাযোগের সম্ভাবনাও খারিজ করতে পারছে না বিজেপি। এ ছাড়া, কর্নাটক মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। এ সব সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই কিছুটা দোলাচলেও রয়েছে কর্নাটকের বিজেপি শিবির। কারণ শপথ নেওয়ার পর স্পিকারের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও প্রমাণ করতে হবে বিধানসভায়।

২০১৮ সালের ১২ মে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট হয়। সেই ভোটে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠাতে পেলেও, নিরঙ্কুশ জয় পায়নি। এর আগে কর্নাটকে কংগ্রেসের সরকার ছিল। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের আসন অনেকটাই কমে যায় (১২২ থেকে কমে দাঁড়ায় ৮০)। ফলে জেডিএসের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সংখ্যা বেশি থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী হন জেডিএসের এইচডি কুমারস্বামী।

কিছুদিন আগে এই জোটের ১৫ জন বিধায়ক ইস্তফাপত্র জমা দেন স্পিকারের কাছে। সেই ইস্তফাপত্র এতদিন স্পিকার গ্রহণ করেননি। আস্থা ভোট নিয়েও টানাপড়েন চলছিল। মঙ্গলবার আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস-জেডিএস জোট। একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়ে ওঠে বিজেপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন