নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে ও নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইয়োথ ফর এসডিজি ৬ প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। তরুণদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের উপযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গড়ে তোলা এবং সক্রিয় নাগরিক হতে উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে সবার জন্য, সব জায়গায় নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ করে হাত ধোয়া, মাসিক স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাপনা চর্চা নিশ্চিত করতে কাজ করবে প্ল্যাটফর্মটি। রোববার ( ২৮ জুলাই) ওয়াটার এইড এই কার্যক্রমের উদ্বাধন করে।
ইয়োথ ফর এসডিজি ৬ প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী উচ্চ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মসংস্থান, কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধি হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াশ-ভিত্তিক ক্যাম্পেইনগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবে। প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের অ্যাডভোকেসি, ওয়াশ সম্পর্কিত জ্ঞান, ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, নেটওয়ার্কিং, পাবলিক স্পিকিং, নেতৃত্ব এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতার ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে, যাদের পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা গ্রহণ এবং সেই অনুযায়ী কার্যাবলী অনুসরণ করবে প্ল্যাটফর্মটি। বিশেষজ্ঞ প্যানেল তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সমন্বয়ে এসডিজি ৬ বাস্তবায়নে তরুণরা কীভাবে সহযোগী, সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন তার নির্দেশনা দেবেন। প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম বাস্তবায়নে মূল সহযোগী ও অগ্রদূত হিসেবে থাকবে ওয়াটারএইড।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি’র (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক।
এজেন্ডা ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রাকে ঘিরে অভীষ্ট ৬ তে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অন্যান্য টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অজর্নে আরও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রুত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য । লাখ রাখ মানুষের জন্য পরিস্কার ও নিরাপদ পানি এবং উপযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করছে সরকার, উন্নয়ন সংস্থা ও বিভিন্ন কমিউনিটি। তরুণরাই নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে, চাহিদাগুলো চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হবে এবং বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা দূর করে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনের সার্বিক পরিস্থিতির অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্য ৬ অর্জনের উদ্দেশ্যে এর কার্যক্রমের সঙ্গে তরুণদের যুক্ত করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে আমরা তরুণদের কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণা, উপায় ও পদ্ধতির সহযোগীতা পাব। আমাদের বিশ্বাস, প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে তরুণরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারকদের সাথে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন এবং ক্যাম্পেইন পরিচালনার সুযোগ পাবেন। এতে তারা শুধু লক্ষ্য ৬ অর্জনই নয়, সকল এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াটার এইড’র দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর টম পালাকুদিইল। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নানা শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, নানা সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন