পাবনায় পবিত্র কোরবানীর পশুর হাট এখনও জমে উঠেনি। আগস্ট মাসের প্রথার্ধে হাট জমে উঠবে। ভারতীয় গরু না হলেও দেশী খামারী, ও গেরস্থের প্রস্তুত করা গরু-খাশিতে কোরবানী করা যাবে ,কোন ঘারতি হবে না। বড়-মাঝারী ও ক্ষুদ্র খামারী এবং গেরস্থরা চাচ্ছেন, ভারতীয় গরু না আসুক। তাহলে পশুর সঠিক মূল্য তাঁরা পাবেন।
দেশীয় পদ্ধতিতে কোন প্রকার স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ছাড়াই গরু মোটাতাজা প্রক্রিয়ায় সফল একজন খামরি মিনারুল। এই রকম । অনেকেই সফল হয়েছেন। তাাঁরা বলছেন, এই কথা গরু মোটা তাজা করতে কোন কৃত্রিম পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়নি। খৈল-ভূষি , ঘড় আর ঘাস এবং ভাতের মাড় খাইয়ে তাঁরা গরু খাশিকে সযতেœ লালন-পালন করেছেন। পাবনার চাটমোহরের ছোট গুয়াখড়া গ্রামের ৪৪ বছর বয়সী মিনারুলের খামারে এখন ৪২ মন ওজনের গরু। যার নাম দেওয়া রেখেছেন টাইগার। কোরবানির পশু হাটে টাইগার গরুটি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন ।
পাবনার চাটমোহর উপজেলারছোট গুয়াখড়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আকুল প্রামানিকের পুত্র মিনারুল ইসলাম। ১ বছর ৪ মাস আগে প্রতিবেশী এক বন্ধুর ১৫/১৬ মন ওজনের গরু কিনে দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে এই প্রথম বারের মতো গরু মোটাতাজা করণ শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর টাইগার নামের গরুটির দৈর্ঘ্য ৯ফুট আর উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। ফিজিয়ান জাতের এ গরুটির ওজন ৪২ মন। কালো আর সাদা রঙ মিশ্রিত সুঠাম স্বাস্থ্যর অধিকারী টাইগারকে দেখতে দুর- দুরান্ত থেকে ছুটে যাচ্ছেন মানুষজন তাঁর খামারে ।
মিনারুলের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা, তিনি তার স্বামীকে গরু পালনে সহযোগিতা করে করেছেন।স্বামী –স্ত্রী মিলে টাইগার নামের গরুটি লালন-পালন করেছেন। ৪ জন লোক রাখা হয়েছে এই গরুটির দেখাশুনা করার জন্য। বারেক মোল্লা বলেন, তিনি জীবনে এত বড় গরু কোন দিন পালন করেননি।
পাবনা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আল মামুন হোসেন জানান,পাবনা জেলায় এবারের কোরবানীর উদ্দেশ্যে ২০ হাজারেরও অধিক খামারে গরু,ছাগল, ভেড়া, মহিষ,মিলিয়ে ২ লাখ ১৮ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা যাবে। এই পশু গুলো খামারিরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হিষ্ট পুষ্ট করেছেন। এ পদ্ধতিতে কোন ভাবে ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা ওষুধ প্রয়োগ করা হয় নি।
অপরদিকে, ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের গরু খামারি কোয়েল বিশ্বাস, জানালেন, গত বছর ৪০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছিলেন। এবারে ৫০ লাখ টাকা বিক্রি করবেন। তিনি এবারে ২০টি গরু,২০টি ছাগল ও ২০ ভেড়া বিক্রি করবেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনয়নের চর কামালপুরের মহিষের বাথান খামারি কর্নেল প্রামানিক জানান, তার মহিষের বাথানে ১০০টি মহিষ রয়েছে। সে এবারে ১টি মহিষ বিক্রি করবে। ৮ মন ওজনের মহিষ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাম বলেছে লোকজন। সে আসা করছে মহিষটি ২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এদিকে, পাবনার সুজানগর উপজেলায়
বাহাদুরকে পবিত্র কোরবানীর পশুর হাটে তোলা হবে বিক্রির জন্য। দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১১ লাখ টাকা। পাবনার সুজানগর উপজেলার আনোয়ার হোসেন মোল্লা একজন ক্ষুদ্র খামারী। তিনি একটি গরু লালন-পালন করে অনেক বড় করেছেন। গরুর মালিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, নিজ খামারের প্রায় আড়াই বছর আগে ‘ফিজিয়াম’ (অস্ট্রোলিয়া) জাতের এই গরুটি তাঁর খামারে জন্ম নেয়। শখ করে বড় করে ওর নাম দিয়েছি ‘বাহাদুর’।
তাঁর মতে, গরুটি দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ও উচ্চতা ৬ ফুট। ২২ মন মাংস আছে গরুটির গায়ে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন