গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা
ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন গরুর খামারিরা। ঈদুল আজহার জন্য রাজবাড়ীতে এবার ৫শ’ ৫টি খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে ১০ হাজার ৩শ’ ১০টি গরু ও ৩শ’ ২০টি খামারে প্রস্তুত হচ্ছে ১০ হাজার ১শ’ ৭০টি ছাগল। এবার পশু খাদ্যের দাম বেশি থাকায় খামারিরা আশঙ্কায় রয়েছে লোকসানের, অভিযোগ রয়েছে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। আর প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বলছেন, সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, খামারিদের দেয়া হচ্ছে সব ধরনের সহযোগিতা। রাজবাড়ী জেলা সদরের বানিবহ ইউনিয়নের শেখ গোলাম মামুন কয়েক বছর যাবৎ লাভের আশায় গড়ে তুলেছেন একটি গরুর খামার, প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫টি গরু মোটাতাজাকরণ করেন তিনি। এবারও তার খামারে রয়েছে ৩০টি গরু। মামুনের মতো আরও ৫শ’ ৫টি খামার রয়েছে রাজবাড়ী জেলায়। সব খামারের মালিকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পশুর পরিচর্যায়। খামার পরিচর্যাকারীরা জানান, তারা প্রতিটি গরুর যতœ নিচ্ছেন এক দিন পর পর গোসল করাচ্ছেন সেই সাথে চালের গুঁড়া ভুসি, খর, ছাটাই খেতে দিচ্ছেন, একটু লাভের আশায় তারা দিন রাত গরুর পরিচর্যা করছেন। কিন্তু প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা খামার পরিদর্শনে আসে না যদি ফোনে কোন ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয় তবে পাওয়া যায় আবার পাওয়া যায় না। খামার মালিকরা জানান, এবার গরুর খাদ্য দ্রব্যের দাম বেশি, তার উপর যদি ভারত থেকে গরু আমদানি করা হয় তবে তাদের লোকসান গুনতে হবে। সেই সাথে পথে বসবে অনেক খামারি। বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু জানান, জেলা সদরের বানিবহ ইউনিয়নের এক জনের দেখাদেখিতে দিন দিন লাভের আশায় বেকার যুবকরা গড়ে তুলছেন গরুর খামার। যদি সরকারিভাবে সহজ সর্তে ঋণ দেয়া হয় তবে এই এলাকার কৃষকরা লাভবান হবেন এবং দেশের মাংসের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গনেশ চন্দ্র ম-ল জানান, রাজবাড়ী জেলায় এবার ঈদুল আজহার জন্য এবার ২০ হাজার ৪শ’ ৮০টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। নিয়মিত খামারিদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাদের সঠিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন