শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বানের স্রোতে কুড়িগ্রামের চিলমারী’র অর্ধশতাধিক পরিবারের স্বপ্ন ভেসে গেছে

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ৬:০৭ পিএম

কদিন আগেও ছিলো অর্ধশতাধিক পরিবারের বাস। ছিলো সাজানো সুখের সংসার, এখন শুধুই অতীত। স্রোতে টেনে নিয়ে গেছে সবার ভিটে-মাটি, ঘর-সংসার। বড় বড় কুড়োয় (গর্ত) পরিণত হয়েছে সেখানে।

চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন গ্রাম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের শেষে উজানের ঢলে সৃষ্ট বানের স্রোতে তাদের স্বপ্ন ভেসে গেছে। পানির তোড়ে মুহূর্তেই বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর।

নিঃশ্ব হয়ে যাওয়া মুদি দোকানি এরশাদুল (৪০) বলেন, কাঁচকোল-থেকে বুরুজের পাড় হয়ে ব্যাপারীর হাট গামী সড়কটি ছিড়ে পানির ঢল গ্রামের দিকে তেড়ে আসে। মহুর্তেই একের পর এক বসতবাড়ী ভাঁসিয়ে নিয়ে যায়। দোকান ভেসে যাচ্ছে আতঙ্কে মালামাল ঘরে তুলে ছিলেন, দু-ভাগ্যে পিছু ছাড়েনি সেখানেও। দোকানের ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামালসহ তার আধাপাকা বাড়ীটি স্রোতে ভেসে যায়। এতে তিনি প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মতো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এখন তিনি একেবারেই নিঃশ্ব হয়ে গেছেন বলেই কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

ঘর-বাড়ি হারানো আবু বক্কর (৬৫) বলেন, ‘অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ। আমরা কিছুই পাইনি। সব বানে নিয়া গেছে’।
মানিক মিয়া বলেন, ঘরে ১০/১২ মন ধান ছিলো, সব ভেসে গেছে। একই কথা জানালেন, প্রদীপ চন্দ্র (৩৫), মিন্টু মিয়া(৪০), আনিছুর রহমান (৪০) এর পরিবারসহ অর্ধশতাধিক পরিবার।

ঘর-বাড়ি হারানো এই মানুষগুলো আশপাশের এলাকার স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, অনেকে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা বাঁধে থাকছেন। এসব মানুষদের সামনে এখন দুঃস্বপ্ন তাড়া করছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সকলের সহযোগীতা কামনা করছেন তারা।

এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের পুনঃবাসনে সহযোগীতা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন