ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রাম ছেড়ে মানুষ দলে দলে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যাচ্ছে। গত রোববার ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়ি ভাংচুরের পর গ্রামটিতে আতংক বিরাজ করছে। সেই সুত্র ধরে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কায় আতংকে মানুষ বাড়ি ছেড়ে মালামাল নিয়ে আত্মীয় বাড়ি চলে যাচ্ছেন। গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও পুলিশের সামনে ঘরের মালামাল ও আসবাবপত্র নিয়ে চলে যাওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। পাইকপাড়া গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানান যায়, গত রোববার আওয়ামী লীগ নেতা সালাম ও রাজ্জাক মেম্বর এবং একই দলের ইসরাইল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে মহিলাসহ ৪০ জনের মত আহত হয়। এর মধ্যে ইসরাইল হোসেনের সমর্থক পচিরন নেছা (৬০) নামে এক মহিলা গুরুতর আহত হন। তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর গ্রামে পৌছালে সালাম ও রাজ্জাক মেম্বরের সমর্থকরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শৈলকুপা থানা গ্রামটিতে পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ মোতায়েন করে। পুলিশ নিয়মিত সেখানে টহল দিচ্ছে এবং বাড়িতে থাকার ও নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না গ্রামবাসি। তাদের ভাষ্য বৃদ্ধা পচিরন নেছার শারিরিক অবস্থার অবনতি বা মৃত্যু হলেই আবারো সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশংকা থেকে আতংকিত হয়ে নিরীহ ও সাধারন মানুষ নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভ্যান ও স্থানীয় যানবাহনে বা মাথায় করে তাদের ঘরের ধান পাট, পেঁয়াজ-রসুন, অন্যান্য ফসল এবং গরু-ছাগল গ্রাম থেকে সরিয়ে ফেলতে শুরু করে। গ্রামবাসি জানায়, সমৃদ্ধশালী পাইকপাড়া গ্রাম খুলনা বিভাগের মধ্যে পেঁয়াজ-রসুন উৎপাদনে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। ঘরবাড়ি ছাড়ার বিষয় নিয়ে শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, পাইকপাড়া গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া গ্রাসবাসিকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিলেও কিছু লোক অযথা ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন যারা প্রতিপক্ষকে মারধর করেছিল সেই রাজ্জাক ও সালামের কিছু সমর্থক বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তবে এখন আর যাচ্ছে না বলে ওসি বজলুর রহমান দাবী করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন