রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পশুর চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা

সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ন্যাপের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৩ পিএম

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা শুরু হয়েছে দাবি করে, তা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ দাবি জানান।

তারা বলেন, কোরবানি ঈদের আর মাত্র তিন দিন বাকি। প্রতি বছরই কমছে পশুর চামড়ার দাম। গত ঈদুল আজহায় ১ লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া হাজার টাকাও বিক্রি হয়নি। এবারও পানির দামে চামড়া কিনতে সিন্ডিকেটের পরিকল্পনা রয়েছে। ট্যানারি মালিকরা পানির দরে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে উচ্চদামে রফতানি করে থাকেন। এতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়ছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ে চামড়ার দাম কম থাকছে।

নেতারা বলেন, কয়েক বছর ধরে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃত্রিমভাবে দাম মাত্রাতিরিক্তভাবে কমিয়ে রেখে অস্বাভাবিক মুনাফা লুটে নেয়। চামড়ার দাম থেকে প্রাপ্ত অর্থের হকদার হচ্ছে গরিব ও এতিমরা। দাম কমানোর ফলে গরিব ও এতিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গরিবদের ঠকিয়ে একদল ধনী সিন্ডিকেট করে, মুনাফা লুটে নিচ্ছে। এটা কাম্য হতে পারে না।
ন্যাপ নেতরা বলেন, চামড়ার দাম নিয়ে শঙ্কা থাকায় এ বছরও চামড়া পাচার বাড়তে পারে বলে অনেক ব্যবসায়ী মনে করেন। এ ঈদে সংগৃহীত চামড়ার একটি বড় অংশ পাচারের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আড়তদারদের দাবি, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরই চামড়া পাচার করেন। দাম কম হলে দেশের আড়তে চামড়া বিক্রি না করে ভারতে পাচার করা হয়।

তারা আরও বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল বছরের এই সময়ে চামড়ার মূল্য ও বাজারের সঙ্গে কোটি কোটি প্রান্তিক হতদরিদ্র ও ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের স্বার্থের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। কাঁচা চামড়ার মূল্য অস্বাভাবিক কমিয়ে নির্ধারণের ফলে চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা এবং যথাযথ নজরদারির বিষয়েও তাদের ব্যর্থতা লক্ষ্যণীয়। অন্যদিকে সাভারে চামড়াশিল্প স্থানান্তর প্রক্রিয়া ও অস্বাভাবিক সময়ক্ষেপণ ও স্বেচ্ছাচারিতার ধারাবাহিক ঘটনাবলি সামগ্রিকভাবে দেশের চামড়া শিল্পের ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে। এতকিছুর পরও আমাদের চামড়াশিল্পের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে। আগামী দশকে চামড়া শিল্প থেকে কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ধান, পাট ও লবণ চাষিদের মতো চামড়ার প্রান্তিক যোগানদাতারা মূল্য কারসাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের খপ্পরে পড়েছে। চামড়ার বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পাশাপাশি কোরবানির পশুর চামড়ার সুবিধাভোগি হতদরিদ্র ও এতিম-মিসকিনদের অধিকার বঞ্চনার এহেন কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
নেতৃদ্বয় সরকারকে এ বিষয়ে নজর দেয়ার জন্য আহ্বান জানান এবং এ ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সিন্ডিকেটমুক্ত করার দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন