মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৩ শতাধিক গাড়ি। এসব গাড়ির মধ্যে বেশির ভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কিছু ট্রাক রয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৩-৪ দিন আগেও এই নৌরুটে নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা ছিল যাত্রীদের। গত ৪৮ ঘণ্টায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারছেন।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় ৩ শতাধিক গাড়ি আছে বলে জানিয়েছেন মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট সহকারী ম্যানেজার মো. শাফায়েত আহমেদ জানান, ছোট বড় মিলিয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়া না থাকায় ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে নৌরুটে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে চলাচল করার কারণে সময় একটু বেশি লাগছে। দুইটি চ্যানেলের ব্যবস্থা থাকলে সময় কম লাগতো, একটি ফেরি রওনা করতো এবং আরেকটি ফিরে আসতো। এই চ্যানেল দিয়ে দুইটি ফেরি একসঙ্গে চলাচল করতে পারে না। সকাল থেকে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও বাসের সঙ্গে অনেক যাত্রী ফেরির মাধ্যমেও পদ্মা পার হয়েছেন।
ফেরিতে যাত্রীদের চাপ থাকায় কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে খালি ফেরি নিয়ে আসা হচ্ছে। এছাড়া গাড়িগুলো সিরিয়াল মেনেই উঠছে ফেরিতে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ঘাটে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো পারাপারে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাকের একটি বড় অংশ ঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। পরিস্থিতি বুঝে ট্রাকগুলোকে ফেরিতে ওঠতে দেয়া হচ্ছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাবিরুল ইসলাম জানান, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিবোট ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের থেকে নির্ধারিত ভাড়া নিশ্চিত করা হচ্ছে। সিবোটে লাইফ জ্যাকেট ও লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীর ব্যাপারে তদারকি করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে ঘাটগামী যাত্রীদের থেকে নির্ধারিত ভাড়া নেয়া হচ্ছে কিনা দেখা হচ্ছে। এসব ব্যাপারে দুইটি ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিক ঘাটে নজরদারি রাখছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন