সাতক্ষীরায় এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) শহরের সুলতানপুর পালপাড়া নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধু দিপিকা হাজরা কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ওমিয় হাজরার মেয়ে।
নিহতের মা কল্পনা হাজরা জানান, ২০১৮ সালে তার মেয়ের সাথে বিয়ে হয় সুলতানপুর পালপাড়া গ্রামের অপারেষ পালের ছেলে অনিমেষ পালের সাথে। বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে যৌতুকের দাবীতে প্রায়ই মারধর করতো। চাহিদামত তাকে কয়েকদফা যৌতুকের টাকাও দেওয়া হয়। তার জামাই অনিমেষ পাল বাগেরহাটে চাকুরি করতো। মেয়েকে সেখানে যেতে দিত না শাশুড়ি নিয়তি পাল ও শশুর অপারেষ পাল। এমনকি মোবাইলেও জামাইয়ের সাথে কথা বলতো দিত না। গত চারদিন আগে তার বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে য্য়া তার জামাই। মেয়ে প্রথমে যেতে না চাওয়ায় তাকে সেখানেও মারধর করা হয়।
তিনি জানান, রাত তিনটার দিকে জামাই ফোন করে বলে, আপনার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনা শোনার পর আমরা এসে দেখি মেয়ে ঘরের ভিতর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। জামাই বাড়ির লোকজন এসময় বলতে থাকে যে, রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দিপিকা। তিনি অভিযোগ করে বলেন তার মেয়েকে প্রথমে হত্যা করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার দেওয়া হয়েছে। মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহৃ আছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন