শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

বাকৃবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৫৮ পিএম

প্রতিষ্ঠার ৫৯তম বছরে পা দিচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। আজ রোববার বাকৃবির ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে বিশ^বিদ্যালয় পরিবার। কৃষি ও কৃষি বিজ্ঞানের সকল শাখায় উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৫৯ সালের জাতীয় শিক্ষা কমিশন এবং খাদ্য ও কৃষি কমিশনের সুপারিশের ১৯৬১ সালের আজকের এই দিনে ময়মনসিংহ শহরের অদূরে পূর্ব পাকিস্থান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এ বিশ^বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় (বাকৃবি) ।

প্রতিষ্ঠাকালে মাত্র দুটি অনুষদ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হলেও বর্তমানে এ বিশ^বিদ্যালয়ে মোট ছয়টি অনুষদ রয়েছে। এই ছয়টি অনুষদের অধীনে বর্তমানে ৪৪টি বিভাগে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের কৃষি উন্নয়নের গুরুদায়িত্ব বহনে সক্ষম তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষিবিদ, কৃষিপ্রযুক্তিবিদ ও কৃষি প্রকৌশলী তৈরি করার লক্ষ্যকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বর্তমানে মানসম্পন্ন উচ্চতর কৃষিশিক্ষা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা বিধানের মাধ্যমে দেশে কৃষি উন্নয়নের গুরুদায়িত্ব বহনে সমর্থ তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ কৃষিবিদ, কৃষিবিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ তৈরি করাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য। শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয়ের অবদান অসামান্য। ১৯৭১ সালের দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হারায় তার ১৮ বীর সন্তানকে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালের স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ছাত্র মো নাজমুল আহসান।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস বাস্তবায়ন কমিটি। সকাল ১০ টার দিকে ‘বাকৃবির অবদান, ক্ষুধা মন্দার অবসান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ^বিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে শুরু হবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন। এরপর দিনব্যাপী নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, গাছের চাড়া বিতরণ সহ নানা কর্মকান্ড হাতে নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসান বলেন, বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করার যে চ্যালেঞ্জ আমরা হাতে নিয়েছিলাম তাতে আমরা জয়লাভ করেছি। তবে বর্তমানে দেশে সেইফ ফুড বা নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যতে বিশ^বিদ্যালয়ের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন