অবহেলিত একটি গ্রামের নাম উত্তর তলুইগাছা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১নং বাঁশদহা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে এই গ্রাম। গ্রামের দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারণে মানুষের দূর্ভোগের অন্ত নেই। বর্ষা মৌসুমে মানুষ সাইকেল, মোটর সাইকেল নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারেন না । ছেলে মেয়েরা স্কুল -কলেজে যেতে পারে না। মুসল্লীদের নামাজের জন্য মসজিদে যেতে দূর্ভোগে পোহাতে হয়। অসুস্থ ব্যক্তিদের ডাক্তারের কাছে যেতে ঘাড়ে চড়ে। দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় এমনই দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীর। অথচ নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা রাস্তা পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়। আর নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর দেখা মেলে না।
জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের পশ্চিম দিকে ভারত সীমান্ত। দক্ষিণ দিকে কুশখালী ইউনিয়ন ও উত্তর দিকে কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রাম । পূর্ব দিকে গড়িয়াডাঙ্গার বিল। পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস এই গ্রামে ।
গ্রামের মধ্যে হাইস্কুল, মাদরাসা, কলেজ কিছু নেই । ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য যেতে হয় অন্য কোন গ্রামের স্কুল- কলেজে। আছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। নামাজ আদায় করার জন্য রয়েছে দ’ুটি মসজিদ। গ্রামের ভিতরে দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই কাঁচা রাস্তায় প্রচুর পরিমানে কাঁদা হয়। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেন না। অনেক কষ্টে কাদা মেখে ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে হয় ।
এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল, ইসাহাক আলী, আব্দুল আহ্দা, ইকবাল হোসেন, ইমরান হোসেনসহ অনেকেই জানান, মানুষ মসজিদে নামাজ আদায় করতে যেতে হিমসিম খায়। চাকুরিজীবিরা সাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে বের হতে পারেন না। নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা রাস্তায় ইটের সলিং করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিলেও নির্বাচনের পরে তাদের আর দেখা মেলে না। এই রাস্তা করার জন্য তারা অনেককে বলেছে। কিন্তু কোন ফল মেলেনি।
গ্রামবাসি মোফাজ্জেল. মতিয়ার রহমান জানান, এই গ্রামে হিন্দু মুসলমান মিলে পাঁচ হাজার লোক বসবাস করেন । গ্রামবাসির একমাত্র দূর্ভোগের কারণ এই দেড় কিলো মিটার কাঁচা রাস্তা । রাস্তাটি ইটের সলিং বা পাকা করা খুবই দরকার। সরকার একটু সু-দৃষ্টি দিলেই রাস্তটি পাকা হতে পারে ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুস সামাদ গ্রামবাসিদের দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, রাস্তাটি পাকা করার জন্য তিনি উপরে যোগাযোগ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন